অগ্নিদগ্ধ হয়ে একসঙ্গে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, পাটনার হোটেলে বিধ্বংসী আগুনের জের

আজ, বৃহস্পতিবার বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পাটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছয়জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। আগুনের লেলিহান শিখায় কমপক্ষে দগ্ধ হয়ে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পাটনা রেল স্টেশনের কাছে অবস্থিত হোটেলের তিনটি বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। এখানে সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগে যায় বলে জানা যাচ্ছে। এখন আপাতত হোটেলের আগুন নেভানোর কাজ চলছে। ২০ জনকে নিরাপদে সেখান থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। এই ঘটনায় হোটেল পল থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে।

এদিকে হোটেল অমিত থেকে মা এবং মেয়ের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হোটেল পলে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে অমিত হোটেলে এবং অন্য বাড়িতে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে দমকলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু গাড়ি, মোটরসাইকেল, অটো রিক্সায় আগুন লেগে ক্ষতি হয়েছে। জোরালো হাওয়া আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নেভাতে দু’‌ঘণ্টা ধরে ১৮টি দমকলের ইঞ্জিন কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই পুড়ে মৃত্যু হয় হোটেলে থাকা তিনজনের। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এই বিষয়ে পুলিশ সুপার রাজীব মিশ্র সংবাদসংস্থা পিটিআই–কে বলেন, ‘‌২০ জন মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হোটেল থেকে। আগুনে পুড়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আগে দেবাংশুর সঙ্গে লড়ুন’‌, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী

অন্যদিকে হোটেলে আগুন লাগল কী করে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দমকল বিভাগের ডিআইজি মৃত্যুঞ্জয় কুমার চৌধুরী বলেছেন, ‘‌প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সিলিন্ডার ফেটেই আগুন ধরে গিয়েছে গোটা হোটেলে। আমরা এখানে ছুটে আসি। তবে এখন আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সঠিক পদক্ষেপ করা হবে।’‌ এখন প্রশ্ন উঠছে, হোটেলে কি আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না? মকল বিভাগের ডিজি শোভা ওহাটকরের বক্তব্য, ‘‌১৬ হাজার হোটেলে ফায়ার অডিট করা হয়েছে। অডিট চলাকালীন নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে হোটেলগুলিকে। কিন্তু কিছু হোটেল কর্তৃপক্ষ নিয়ম মানতে চায় না।’‌

এছাড়া সিলিন্ডার থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে দমকল মনে করছে। তবে এখনও সেভাবে সূত্র মেলেনি। হাসপাতালে যাঁরা ভর্তি আছেন তাঁদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তার পর আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কেমন করে হোটেলে আগুন লাগল সেটা আপাতত তদন্ত শুরু হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।