Author Ankur Warikoo: ক্ষয়ে গিয়েছিল নিতম্বের হাড়, এরপরই বানান ৬ প্যাক অ্যাবস, ফিটনেস জার্নি কেমন ছিল লেখক ওয়ারিকুর

একজন সুপরিচিত লেখক, উদ্যোক্তা এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর অঙ্কুর ওয়ারিকু। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, কীভাবে নিজের ১০ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন তিনি। এমনকী ৪৩ বছর বয়সে ৬ প্যাক অ্য়াবস বানিয়েছেন। একটি দীর্ঘ ক্যাপশনে মিঃ ওয়ারিকু প্রকাশ করেছেন ২০১২ সালে তিনি অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস নামক একটি চিকিৎসা রোগে আক্রান্ত হন, যার ফলে তাঁর ডান নিতম্বের হাড় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

লেখক ওয়ারিকুর অস্ত্রোপচার

৩২ বছর বয়সে চিকিৎসকের তাঁকে ‘হাঁটাচলা বন্ধ করার’ নির্দেশ দেন। অস্ত্রোপচারের পর মাস কয়েক বিশ্রামে ছিলেন তিনি। ৫ মাস ধরে ক্রাচ ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার পরও তাঁর ফিটনেস যাত্রা থেমে থাকেনি।

আরও পড়ুন: ‘মা’ হিসেবে ইতিহাস গড়লেন, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা হিসেবে সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেলেন বাঁধন

অঙ্কুর ওয়ারিকুর পোস্ট

মিঃ ওয়ারিকু জানিয়েছেন, সুস্থ হয়ে ওঠার পর ফিট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। প্রথমবার তিনি জিমে যোগ দেন। এরপর দৌড়াতে শুরু করেন। মিঃ ওয়ারিকু তাঁর রূপান্তরের আগে এবং পরে ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘পাগলামির এক মুহূর্ত, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ম্যারাথন দৌড়ব! আমি আমার জীবনে প্রথমবার একটি জিমে যোগ দিয়েছিলাম। শুরু করলাম দৌড়ানো’।

আরও পড়ুন: ‘ভাবতেই পারিনি..’, পদ্মশ্রী পেয়ে আপ্লুত ভাওয়াইয়া শিল্পী গীতা রায় বর্মণ, দিদিকে শোনালেন গান শেখার গল্প

উদ্যোক্তা জানান, প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হলেও তিনি শারীরিক কসরত চালিয়ে যান। তিনি জানান, ‘১০ মাস পরে, আমি ২১ কিলোমিটারের অর্ধ-ম্যারাথন সম্পন্ন করেছি’।

আরও পড়ুন: এক রঙের পোশাক পরে নাইট আউট, ফাটিয়ে আড্ডা দিলেন সোনি-নীনারা, কী কী করলেন

কী লিখেছেন

বছর ৪৩-এর ওয়ারিকু এখনও তাঁর লক্ষ্য অর্জন থেকে যে সন্তুষ্টি আশা করেছিলেন তা পূরণ করতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এটি সম্পর্কে আমি দুর্দান্ত অনুভব করব। কিন্তু আমি উল্টো অনুভব করেছি। আমি অনুভব করেছি যে আমি প্রতারণা করেছি। কারণ সেই দিন আমি সর্বোচ্চ ১৪ কিলোমিটার দৌড়েছি। হয়তো কোনও একদিন ২১ কিলোমিটার দৌড়ে দেখাতে পারব। তবে রোজ সেটা দেখাতে হবে না’।

৬ প্যাক অ্যাবস চ্যালেঞ্জ

৩৩ বছর বয়সে নিজের ৬ প্যাক অ্যাবস তৈরির চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন উদ্যোক্তা। লেখেন, ‘সেদিনের হিসাবে আমার শরীরের চর্বি ছিল ২৬ শতাংশ। শরীরের চর্বি যখন ১০%-এর নিচে পৌঁছায় তখন অ্যাবস দেখা যায়! আমাকে আমার পুরো জীবন পরিবর্তন করতে হবে। আমার খাদ্য, আমার ঘুমের সময়সূচী, আমার ফিটনেস ব্যবস্থা। এবং আমি করেছি। আমি ফল পেয়েছি। ৬-প্যাক অ্যাবস নিয়ে আমি ফিট। ওয়ার্কআউট করা নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১০ বছর পরে (২০২৪), আমি আবার যাত্রার মধ্য দিয়ে যাওয়ার এবং ৬-প্যাক অ্যাবস পাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।

মিঃ ওয়ারিকু শেষে জানিয়েছেন,’আজ আমার বয়স ৪৩, আর আমি চর্বিমুক্ত। আমি জানি যে এই রুটিন, জীবনধারা এবং মানসিকতা যা ১০ বছর আগে শুরু হয়েছিল, সারাজীবন আমার সঙ্গে থাকবে। এই ‘দ্বিতীয়’ জীবনের জন্য চির কৃতজ্ঞ..’।