Pakistan murder: বান্ধবীর জন্য অর্ডার করা বার্গার খাওয়ায় পাকিস্তানে বন্ধুকে গুলি করে খুন যুবকের

পাকিস্তানের করাচিতে দায়রা বিচারকের ছেলেকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, তাঁর এক বন্ধু নিজের বান্ধবীর জন্য বার্গার অর্ডার করেছিল। তবে সেই বার্গারের একটুকরো খেয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তা নিয়ে বচসার জেরে তাঁর বন্ধু তাঁকে গুলি করে। এই ঘটনায় তদন্ত শেষ করে পুলিশ একটি রিপোর্ট দাখিল করেছে। তাতেই এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে করাচিতে।

আরও পড়ুনঃ দিল্লির রাস্তায় একের পর এক চলল গুলি, পুলিশের ASI-কে খুন করে আত্মঘাতী বন্দুকধারী

পাক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৮ ফেব্রুয়ারি করাচির ডিফেন্স ফেজ ৫ এলাকায়। নিহত যুবকের নাম আলি কিরিও। তিনি এক দায়রা বিচারকের ছেলে। অভিযুক্ত যুবকের নাম দানিয়াল। সে সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) নাজির আহমেদ মীরবাহারের ছেলে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, বান্ধবীর বার্গার খাওয়া নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে তাঁর বচসা বাঁধে। তারপরেই এমন কাণ্ড। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দানিয়াল তার বান্ধবী শাজিয়াকে তার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সেই সময় তার বন্ধু আলি কিরিও এবং তার ভাই আহমারও তার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। তবে অভিযুক্ত নিজের জন্য এবং শাজিয়ার জন্য দুটি বার্গার অর্ডার করেছিল। বার্গার দেখতে পেয়ে সেটির একটি অংশ খেয়ে ফেলেছিলেন কিরিও। তা রীতিমতো ক্ষেপে উঠছিল দানিয়াল। এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা বাঁধে। ক্রমেই তাদের মধ্যে বচসা তীব্র আকার নেয়। 

অভিযোগ, এরপরেই অভিযুক্ত যুবক বাড়িতে নিযুক্ত একজন গার্ডের রাইফেল কেড়ে নেয় এবং তা থেকে বন্ধু কিরিওকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় তিনি গুরুতর জখম হন। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। তবে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনার তদন্তে নেমে আধিকারিকরা এই খুনের জন্য পুলিশ সুপারের ছেলেকেই দায়ী করেছেন। তার ভিত্তিতে প্রতিবেদনের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। এদিকে, ঘটনার পরেই অভিযুক্ত দানিয়াল নাজিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে জেলে বন্দি রয়েছে সে। এখনও এই মামলায় বিচার শুরু হয়নি।

প্রসঙ্গত, পাক সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, করাচিতে ডাকাতির ফলে প্রাণহানির ঘটনা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই ধরনের ঘটনায় ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৪৬৯ জন।