SC on wealth’s Marxist interpretation: সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে মার্ক্সবাদী ব্যাখ্যা মেনে চলব না, বলল সুপ্রিম কোর্ট, তবে…

সম্পদ পুনর্বণ্টনের ক্ষেত্রে মার্ক্সবাদী ব্যাখ্যা মেনে এগিয়ে যাওয়া হবে না। এমনই মন্তব্য করল ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন নয় বিচারপতির বেঞ্চ। ওই বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৭৭ সালে সংবিধানের ৩৯ (বি) ধারার যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন বিচারপতি ভিআর আইয়ার, সেটা অনুসরণ করা হবে না। তিনি জানিয়েছিলেন যে জনগণের স্বার্থে কোনও সম্প্রদায়ের (ট্রাস্টের হাতে আছে) বস্তুগত সম্পদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পদও থাকবে। যদিও সেই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত নয় ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায়, বিচারপতি বিভি নাগরত্না, বিচারপতি এস ধুলিয়া, বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি আর বিন্দল, বিচারপতি এসসি শর্মা এবং বিচারপতি এজি মাসিও। ওই বেঞ্চের মতে, ব্যক্তিগত মালিকাধীন সম্পদ এবং ট্রাস্টি বা এজেন্টের হাতে থাকা সম্পদের (যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে ট্রাস্টে রেখেছে বর্তমান প্রজন্ম) মধ্যে পার্থক্য আছে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ভারতের প্রধান বিচারপতি জানান, সম্পদ পুনর্বণ্টন নিয়ে দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন মতাদর্শ আছে। একটি হল মার্ক্সবাদী ও সামাজিক মতাদর্শ। যে মতাদর্শ অনুযায়ী, সব সম্পত্তির মালিক হল রাষ্ট্র এবং সমাজ। পুঁজিবাদী মতাদর্শে আবার ব্যক্তিগত অধিকারের উপর জোর দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে গান্ধীবাদী মতাদর্শ আছে। যে মতাদর্শের ক্ষেত্রে ট্রাস্টের উপর জোর দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: Severe Heatwave in WB till 1st May: প্রবল তাপপ্রবাহ চলবে, বুধ পর্যন্ত গরমে ‘রোস্ট’ হতে হবে, কবে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে?

ভারতের প্রধান বিচারপতি আরও জানান, সামাজিক সম্পদের মধ্যে আছে প্রাকৃতিক সম্পদ। সেটার অপব্যবহার করা হলে সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। যে সম্পদ কোনও ট্রাস্টের হাতে থাকে। আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা রেখে দেয় বর্তমান প্রজন্ম। তবে ব্যক্তিগত মালিকানায় জঙ্গল, জলাশয় বা খনির মতো সম্পদ থাকলেও সেটার সামাজিক গুরুত্ব আছে। ওই সম্পদ ব্যবহারের ফলে যে সুযোগ-সুবিধা মেলে, সেটা ব্যক্তিগত অধিকারের ছুতো দিয়ে রোখা যায় না।

আরও পড়ুন: India’s lightest bulletproof jacket: ভারতের সবথেকে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি DRDO-র! বাঁচাবে সর্বোচ্চ বিপদ থেকেও

তিনি আরও জানান, তাঁরা এটা বলছেন না যে বন-জঙ্গল, খনি এবং জলাশয়ের মতো সম্পদের ক্ষেত্রে যে সংবিধানের ৩৯ (বি) ধারার কোনও গুরুত্ব নেই। কিন্তু সেটা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়, যা কারও ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: India’s lightest bulletproof jacket: ভারতের সবথেকে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি DRDO-র! বাঁচাবে সর্বোচ্চ বিপদ থেকেও