Elon Musk’s Deepfake Video: ‘আই লাভ ইউ!’ ইলন মাস্কের ডিপফেক ভিডিয়ো কল মহিলাকে, হাওয়া হয়ে গেল ৪০ লাখ

ইলন মাস্কের ডিপফেক ভিডিয়ো তৈরি করে প্রতারণার ফাঁদ।আর সেই প্রতারকের ফাঁদে পড়লেন এক মহিলা। ইনস্টাগ্রামে তাকে ফোন করা হয়েছিল। সেই ফোন তুলেছিলেন ওই মহিলা। আসলে সেটা ইলন মাস্ক ছিলেন না। ইলন মাস্কের নাম করে ফোন করেছিল প্রতারক। আর সেই ফাঁদে পা দিতেই ওই মহিলার অ্য়াকাউন্ট থেকে উড়ে গেল ভারতীয় টাকায় ৪০ লাখ। ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে সেটা জানা গিয়েছে। 

দক্ষিণ কোরিয়ার ওই মহিলার নাম জিয়ং জি সুন। সাউথ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম কেবিএসকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন ইলন মাস্ক নাম করে একজন তাকে ইনস্টাগ্রামে যোগ করেছিল। প্রথম দিকে তিনি এনিয়ে কিছুটা সন্দেহ করছিলেন। কিন্তু এরপর ফোন আসার পরে তিনি আর সন্দেহ করেননি। 

তার কাছে একটি ভিডিয়ো কল এসেছিল। সেই ব্যাপারটি নিয়ে তিনি কেবিএসকে জানিয়েছেন, গত বছর পুরো স্বপ্নের মতো লাগছিল। গত বছর ১৭ জুলাই ইলন মাস্ক আমাকে বন্ধু হিসাবে ইনস্টাগ্রামে যুক্ত করেছিলেন। তবে আমি ইলনের ফ্য়ান বরাবর। তবে প্রথম দিকে কেমন যেন সন্দেহ হত। 

এদিকে এরপর ফোন আসে ওই মহিলার কাছে। সেটা ছিল ভিডিয়ো কল। সেই কলে তাকে প্রেম নিবেদনও করা হয়। মাস্ক সেই ফোনে তার বাচ্চাদের কথা বলেন। আবার টেসলা ও স্পেস এক্স অফিস থেকে কীভাবে হেলিকপ্টারে তিনি বেরিয়েছিলেন সেকথাও জানান। অফিসের একাধিক ছবিও তিনি শেয়ার করেন। এমনকী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার ঘটনাও তিনি জানান। এরপর ওই মহিলা বিশ্বাস করে ফেলেন যে ওই ব্য়ক্তিই হল ইলন মাস্ক। 

ওই মহিলা বলেন, মাস্ক আমায় বলেন, আমি তোমায় ভালোবাসি, তুমি কি এটা জানো? ভিডিয়ো কলে একথা জানিয়েছিল ওই প্রতারক। 

আসলে ওই ব্যক্তি আসল ইলন মাস্ক নন। সে আসলে ইলনের ডিপফেক ভিডিয়ো। এরপর ভিডিয়ো কলে বলা হয় ৫০,০০০ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার জন্য। এতেই নাকি ওই মহিলা বড়লোক হয়ে যাবেন। কিন্তু ধনী হওয়া তো দূরের কথা ওই মহিলা যে অর্থ পাঠিয়েছিলেন সেটা আর তিনি ফেরত পাননি। 

ওই মহিলা সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, ওই মাস্ক বলে লোকটা বলছিল, আমার ফ্যানরা যখন ধনী হয়ে যায় তখন আমার খুব ভালো লাগে। এই সব কথায় আমি বিশ্বাস করে ফেলি। কিন্তু তারপরই তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।