TET wrong questions: টেটে একগুচ্ছ ভুল প্রশ্ন, যাচাইয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আস্থা হাইকোর্টের

২০২২ সালের প্রাথমিক টেটে একাধিক প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ উঠেছে। সেই সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে প্রশ্নগুলিকে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এই কমিটি প্রশ্নগুলি আদৌও ভুল ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তার সঠিক উত্তর কী হবে তাও জানাবে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় নয়া নির্দেশ HC-র, ‘ভুল প্রশ্ন’ খতিয়ে দেখতে গঠন হবে কমিটি

এবিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে যাবতীয় নথি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের হাতে তুলে দিতে বলেছে। আগামী ১৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই রিপোর্ট দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে কলকাতা হাইকোর্ট।

যদিও টেটের প্রশ্ন ভুল কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য এই প্রথম কোনও বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দিল না হাইকোর্ট। এর আগেও একাধিক ক্ষেত্রে এই পথ অবলম্বন করেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। এর আগে ২০১৭ সালের টেটে ২১ টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ পাওয়ার পর গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট সেই সমস্ত প্রশ্ন ভুল ছিল কিনা তা যাচাই করার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দিয়েছিল। সেক্ষেত্রেও এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিকে প্রশ্ন খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে বলে আদালত। এই মামলায় পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১১ জুন।

ঠিক একইভাবে এর আগে ২০১৪ সালের টেটেও প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ উঠেছিল। সেক্ষেত্রে ৬ টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তার ভিত্তিতে সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়  বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন। সেই কমিটিকে প্রশ্নগুলি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। 

পরবর্তীকালে বিশেষজ্ঞরা সেগুলি খতিয়ে দেখে জানতে পারেন, ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট প্রথমে আবেদনকারীদের ৬ টি ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যারা এই সমস্ত প্রশ্ন অ্যাটেন্ড করেছিল তাদের সকলকেই নম্বর দিতে হবে। আর এবার ফের প্রশ্ন ভুলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির উপরেই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।