নন্দীগ্রামে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট

তীব্র তাপদাহে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৮-২০ জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা এতটাই বেড়েছে হাসপাতালে বেড খালি না থাকায় ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাদের। সেই সঙ্গে হাসপাতালে সংকট দেখা দিয়েছে কলেরা স্যালাইনের।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (বিজরুল) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল মাহমুদ লিটন জানান, তীব্র গরমের কারণে ব্যাপকহারে বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়ার রোগী। যার প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৮-২০ জন রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়া অন্য রোগীও আছে। এদিকে কলেরা স্যালাইন সংকট বিদ্যমান।

সরেজমিনে সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (বিজরুল) ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালে খালি কোনো বেড নেই। রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় বেড না পেয়ে ওয়ার্ডের মেঝেতেই তাদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। 

হাসপাতালের মেঝেতে থাকা ডায়রিয়ার রোগী বাদলাশন গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, হঠাৎ পেটে জ্বালানি শুরু হয়। পরে বমি ও পায়খানার সমস্যা নিয়ে শুক্রবার সকালে ভর্তি হয়েছি। সব বেডেই রোগী আছে তাই মেঝেতেই থাকতে হচ্ছে।

তোফাজ্জল হোসেন নামের বিষা গ্রামের ডায়রিয়ার রোগী বলেন, গত বুধবারে গরমের কারণে ১৪-১৫ বার পাতলা পায়খানা করেছি। পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ দিয়েছে। কিছু ওষুধ ও স্যালাইন বাহিরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (বিজরুল) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, ডায়রিয়ার অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে তাদের বেড দেওয়া সম্ভাব হচ্ছেনা। তবে খাওয়ার স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে। আমরা সাধ্যমতো রোগীদের  চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

 



শাকিল/সাএ