যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে হামাস। শনিবার (২৭ এপ্রিল) এই প্রতিক্রিয়া পেয়েছি গোষ্ঠীটি। এই প্রতিক্রিয়ার জবাব পাঠানোর আগে এটি পর্যালোচনা করবে হামাস। একটি বিবৃতিতে গোষ্ঠীটির ডেপুটি প্রধান খলিল আল-হাইয়া এই তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

হামাস প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘আজ ১৩ এপ্রিল মিসরীয় এবং কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে উপস্থাপিত প্রস্তাবের বিষয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে হামাস।’

তবে বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ায় কী কী বলা হয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

গাজা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েল-হামাস ‍যুদ্ধ। এরমধ্যে কয়েকবার গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয়ে কোনও সমাধান ছাড়াই স্থগিত হয়ে যায়। আলোচনায় কোনও পক্ষই নিজেদের অবস্থান থেকে নড়তে নারাজ।

শুক্রবার ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে ইসরায়েল সফর করেছে একটি মিসরীয় প্রতিনিধি দল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বৈঠকের বিষয়ে জানান, ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনার শুরু করার উপায় খুঁজছেন তারা।

এই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের কাছে নতুন কোনও প্রস্তাব নেই। তবে তারা সীমিত যুদ্ধবিরতির বিষয়টি বিবেচনা করতে আগ্রহী, যেখানে ৪০ জন জিম্মির পরিবর্তে ৩৩ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।

গাজায় চলমান এই সংকটের ইতি টানতে হামাসকে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ১৭টি দেশ। বৃহস্পতিবার এমন আহ্বান জানায় দেশগুলো।

তবে আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হামাস। শুক্রবার জারি করা একটি বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি সাফ জানিয়েছে, তারা শুধু ‘ফিলিস্তিনিদের চাহিদা এবং অধিকারকে মূল্যায়ন করে এমন যে কোনও ধারণা বা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে উন্মুক্ত।’