CESC response to power cut: লোডশেডিংয়ের সমস্যা নেই, কলকাতায় দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় দাবি CESC-র

গ্রীষ্মের দহনে জ্বলছে রাজ্যের একাধিক জেলা। হাঁসফাঁস গরমে তীব্র অস্বস্তিতে বঙ্গবাসী। গত কয়েকদিন ধরে গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রির ওপরে পৌঁছে গিয়েছে। আর গরম বাড়তেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এসি, কুলার, ফ্রিজ, ফ্যানের ব্যবহারও। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। মানুষের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আগেই সিইএসসিকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এই অবস্থায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে শহরবাসীকে।

আরও পড়ুনঃ দেশে ‘এক নম্বর’ হলেও জেলায়-জেলায় এত লোডশেডিং কেন? বৃষ্টিকে দুষলেন মন্ত্রী

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গড়িয়া, সোনারপুর, সল্টলেক প্রভৃতি সিএসসি এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও, উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার কিছু অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়। পাশাপাশি কসবা, হরিদেবপুরেও এই সমস্যা দেখা দেয়। কোথাও আধ ঘণ্টার আবার কোথাও তারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় বাসিন্দাদের।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা লাইন ট্রিপ করার কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও, কসবায় ২২০ কেবি ট্রান্সমিশন সাব স্টেশনের একটি ট্রান্সফরমারে অতিরিক্ত গরমের কারণে আগুন লেগে যায়। তারপরে কলকাতার কিছু অংশ, গড়িয়া, সোনারপুর এবং সেক্টর ফাইভে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়। যদিও সিইএসসি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সিইএসসির তরফে দাবি করা হয়েছে, লোডশেডিংয়ের সমস্যা নেই। তবে এর ফলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল শহরবাসীকে।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিদ্যুৎ মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, যদি কোনও জায়গায় যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় বা বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত করা হয় সেই সময় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে হবে। এর পাশাপাশি মোবাইল রিপেয়ারিং ভ্যান এবং মেরামতের জন্য কর্মী সংখ্যা আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে সিইএসসি। সংস্থার তরফে জানানো হয়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যার সমাধানে সুপারভাইজ়ারি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন সিস্টেম (এসসিএডিএ)-এর ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে যে কোনও জায়গায় সমস্যা হলে দ্রুত পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে। এরফলে গ্রাহকদের সমস্যায় পড়তে হবে না।