গ্রীষ্মের প্রখর রোদে পুড়ছে বাংলা। তাপপ্রবাহে হাসফাঁস অবস্থা বঙ্গবাসীর। সকাল থেকে যেন চোখ রাঙাচ্ছে সূর্য। ইতিমধ্যেই, এবছরের তাপমাত্রা ৪৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই অবস্থায় সূর্যের তীব্র রোদে হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা প্রবল। এরই মধ্যে আগামীকাল রবিবার রয়েছে রাজ্য জয়েন্ট এট্রান্স পরীক্ষা। এই অবস্থায় তীব্র গরমে পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে একগুচ্ছ নির্দেশ দিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।
আরও পড়ুনঃ জয়েন্ট পরীক্ষার জন্য ১২ স্পেশাল ট্রেন চালাবে, চলবে বাড়তি মেট্রোও, রইল সময়সূচি
নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত জল এবং ওআরএসের ব্যবস্থা করতে হবে। এর পাশাপাশি তীব্র দহনে যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে, তারজন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা জানান, সব পরীক্ষা কেন্দ্রের ইনচার্জদের এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের যেহেতু জলের বোতল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ, তাই পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে ইনচার্জদের।
উল্লেখ্য, আগামীকাল প্রথম পত্র গণিতের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১ টা থেকে এবং তা চলবে ১ টা পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় পত্র পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২ টো থেকে, চলবে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত। সকাল ১০টার পর থেকেই রোদের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। তাই হিটস্ট্রোক এড়ানোর জন্য পরীক্ষার্থীদের সকাল সকাল পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড।
পরীক্ষার্থীরা সকাল ৯ টা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। সাড়ে ৯ টার মধ্যে সকলকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে। এই গরম থেকে বাঁচতে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে সেরকম বোর্ডও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করল।
অন্যদিকে, পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে একজন ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শক গড়ে তিনটি করে পরীক্ষাকেন্দ্র আচমকা পরিদর্শন করবেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল বা বৈদ্যুতিন যন্ত্র নিয়ে কোনওভাবে প্রবেশ করতে পারবে না পরীক্ষার্থীরা। যদি কারও কাছে থাকে তাহলে আরএফডির মাধ্যমে তা জানা যাবে।
এছাড়াও পরীক্ষাকে ঘিরে পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে বোর্ড। প্রসঙ্গত, এবারের জয়েন্ট এন্ট্রান্সে মোট আবেদনকারী সংখ্যা ১,৪২,৬৯২। গতবারের থেকে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৮২ টি বেড়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩০৬ আর এবার তা বেড়ে হয়েছে ৩৮৮ টি।