Nose pin screw in Lung: ফুসফুসে আটকে গিয়েছিল নাকছাবির স্ক্রু, জটিল অস্ত্রোপচারে বের করলেন চিকিৎসকরা

নিশ্বাস নিতে গিয়ে মহিলার ফুসফুসে আটকে গিয়েছিল নাকছাবির স্ক্রু। তারফলে শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিয়েছিল মহিলার। পরিস্থিতি এমন যে মহিলার প্রাণহানির সম্ভবনা পর্যন্ত ছিল। তবে শেষ অবধি জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফুসফুস থেকে নাকছাবির স্ক্রু বের করে মহিলার জীবন বাঁচালেন চিকিৎসকরা।এমনই বিরল একটি ঘটনা সামনে এসেছে কলকাতায়। মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করা হয়।

আরও পড়ুন: শিশুর ফুসফুসে পেরেক! তারপর যা করলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারবাবুরা

জানা গিয়েছে, বছর ত্রিশের ওই মহিলার নাম বর্ষা সাহু। প্রায় তিন মাস আগে স্ক্রুটি নিশ্বাস নেওয়ার সময় ফুসফুসের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। মহিলা জানান, ১৬ থেকে ১৭ বছর আগে নাকছাবিটি তিনি বিয়েতে পড়েছিলেন। তিনি একজনের সঙ্গে গল্প করতে করতেই জোরে নিশ্বাস নিয়েছিলেন। তখনই স্ক্রুটি তাঁর শ্বাসনালীতে আটকে যায়। মহিলা বলেন, ‘আমি জানতাম না যে স্ক্রুটি আলগা হয়ে গিয়েছিল। আমি বুঝতে পারিনি যে সেটি শ্বাসনালীতে আটকে গিয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম, এটি আমার পেটে চলে গিয়েছিল।’ ফলে বিষয়টিতে আর বিশেষ গুরুত্ব দেননি বর্ষা। কিন্তু মার্চ মাস থেকেই ঘটে বিপত্তি। অবিরাম কাশি এবং শ্বাসকষ্ট এবং নিউমোনিয়া তাঁর লেগেই ছিল। তখন তিনি চিকিৎসকদের কাছে গেলে তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। 

এরপর সিটি স্ক্যান এবং বুকের এক্সরে করতেই চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন ফুসফুসের ভিতরে ওই স্ক্রুটি আটকে রয়েছে। তবে সে বিষয়টি আঁচ করতে পারেননি বর্ষা।এরপরই চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। যদিও অস্ত্রোপচারে রাজি ছিলেন না বর্ষা।

পরে এক্স-রেতে তাঁর ডান ফুসফুসে স্ক্রুটি পাওয়া যায়। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে প্রচলিত ব্রঙ্কোস্কোপির মাধ্যমে সেটি বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাতে তারা সফল হননি। পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ষাকে হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে ডাঃ দেবরাজ জশের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই স্ক্রু ফুসফুস থেকে বের করে।

চিকিৎসক জানান, এর আগে অনেকের শ্বাসনালীতে বাদাম বা ছোলা আটকে গিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে এই ধরনের ঘটনা একেবারে বিরল।  তিনি জানান, রোগী যদি আরও কয়েকদিন উপেক্ষা করতেন বা সঠিক সময়ে অস্ত্রোপচার না করা হত তাহলে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারত। ফুসফুসের সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। জানা গিয়েছে, বর্ষা একজন গৃহবধূ। বর্তমানে তিনি সুস্থ। অস্ত্রোপচারের ৪ দিন পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।