Officers Accused of Threatening: বিজেপিকে ভোট না দিলে বুলডোজার-অভিযোগ, এমন হুমকি দিয়েছেন ৯ সরকারি অফিসার! সগরম অসম

অসমের করিমগঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী কৃপানাথ মাল্লাহ। তাঁকে ভোট না দিলে, ভোট গণনার পর বুলডোজারের মুখে পড়তে হবে, এমন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি শাসিত অসমের ৯ সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের কাঠগড়ায় থাকা এই অফিসারদের মধ্যে অন্যতম হলেন বন দফতরের (ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট) স্পেশ্যাল চিফ সেক্রেটারি ও প্রধান এমকে যাদবা। 

ঘটনা ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে বলে জানা যাচ্ছে। অসমের করিমগঞ্জের চেরাগি সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা ওই ৯ সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে করিমগঞ্জের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বন দফতরের ৯ জন তাবড় অফিসার ও বাকি ৪৫ জন তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, আপত্তিকর মন্তব্য করা হচ্ছে, এছাড়াও তাঁদের ভোট দেওয়া নিয়েও প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগ যাঁরা করেছেন, তাঁরা সকলে মুসলিম। অভিযোগে বলা হচ্ছে, ৪০ থেকে ৪৫ জন কালো পেশাকের সশস্ত্র কমান্ডো, ফরেস্ট ফোর্স, পুলিশ ফরেস্ট গার্ড নিয়ে ওই বনদফতরের অফিসাররা এসেছিলেন। অভিযোগকারীরা বলছেন,’ তাঁরা আমাদের বাড়িতে ঢুকেছেন, কয়েক ঘণ্টা ধরে আমাদের বাড়ি থেকে বের করে তল্লাশি করেছেন, পরে ছবিও তুলেছেন।’ অভিযোগকারীদের অভিযোগ, তাঁদের ওই অফিসাররা হুমকি দিয়ে বলেছেন, বিজেপির প্রার্থী কৃপানাথ মাল্লাহকে ভোট না দিলে তাঁদের বাড়ি ৭ জুনের পর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। অভিযোগকারীরা বলছেন, ‘তাঁরা গালিগালাজ ও অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করে আমাদের সম্বোধন করেছিলেন এবং বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিতে বলেছিলেন।’ 

(Watermelon side effects:গরমে দেদার তরমুজ খাচ্ছেন! বেশি খেলে কী হতে পারে জানেন? কতটা খাওয়া দরকার? জেনে নিন)

অভিযোগে বলা হচ্ছে, ‘আমাদের বলা হয়েছে, আমরা যদি বিজেপির জন্য ভোট দিই , তাহলে আমরা এখানে থাকতে পারব সুখে শান্তিতে পাকা বাড়ি নিয়ে।’ তাঁদের অভিযোগ এমকে যাদবা ছাড়াও বনদফতরের অফিসার, রাজীব কুমার দাস, বিজয় তম্বক পালভে, তাপস দাস সহ অনেকের বিরুদ্ধে। এদিকে, অভিযোগের কাঠগড়ায় থাকা এমকে যাদবার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ এর তরফে। তবে তিনি কথা বলেননি। এদিকে, অভিযুক্ত অফিসার রাজীব দাস বলেন, ‘ আমি সম্প্রতি এখানে যোগ দিয়েছি এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল দখল হওয়া বনের জমি দখল মুক্ত করার। আমরা নিয়ম অনুসরণ করে আমাদের কাজ করেছি।’