Elephant attack: জঙ্গলে ফেরাতে গিয়ে বিপত্তি, হাতির হানায় প্রাণ গেল ২ বনরক্ষী সহ ৩ জনের, আহত ১

লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল একটি দলছুট হাতি। আর সেই হাতিকে জঙ্গলে তাড়াতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। পালটা শুঁড় উচিয়ে বন বন রক্ষী এবং গ্রামবাসীদের হামলা চালাল হাতিটি। ঘটনায় মৃত্যু হল ২ বন রক্ষীসহ তিনজনের। এছাড়াও, হাতির হানায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার অসমের সোনিতপুর জেলায়।

আরও পড়ুন: বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষককে পিষে মারল দাঁতালের দল, আতঙ্ক এলাকায়

বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিটি পাশের ঢেকিয়াজুলি জঙ্গল থেকে ধিরাই মাজুলি গ্রামে ঢুকে পড়ে। এরপর হাতিটি গ্রামে সবকিছু তছনছ করতে শুরু  করে। তখন হাতির সামনে চলে আসেন যতীন তাঁতী নামে এক গ্রামবাসী। জানা গিয়েছে, রাতে তিনি শৌচকর্মের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় তাকে দেখে হামলা চালায় হাতিটি। কিন্তু, সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারেননি যতীন। তখন ওই গ্রামবাসীকে পিষে মারে হাতিটি। 

এই ঘটনার জেরে ব্যাপক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি তারা খবর দেন বন বিভাগে। পরে হাতিকে জঙ্গলে তাড়াতে সেখানে পৌঁছন বন বিভাগের কর্মীরা। তারা সেখানে পৌঁছে শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন। কিন্তু, তাতে কাজ হয়নি। উলটে ক্ষেপে যায় হাতিটি । এরপরেই ঘটে বিপত্তি। দুই বনকর্মীকে শুঁড়ে করে আছড়ে ফেলে ওই হাতি। তারফলে দুজনের মৃত্যু হয়। মৃত দুই বনকর্মীর নাম হল কোলেশ্বর বোরো এবং বীরেন রাভা। এছাড়াও আরও এক গ্রামবাসী হাতির হামলায় আহত হয়েছেন। তাঁর নাম দিবাকর মালাকার। তাঁকে উদ্ধার করে তেজপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ডিএফও (সোনিতপুর পশ্চিম) নৃপেন্দ্র নাথ কলিতা বলেছেন, ‘আমরা দুজন সাহসী বনরক্ষীকে হারিয়েছি। যাদের একজন হলেন বীরেন রাভা। কয়েক বছর আগে সাহসিকতার জন্য সরকার তাঁকে পুরস্কৃত করেছিল। হাতিটিকে অন্যান্য বন কর্মীরা জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করছেন।’

এই ঘটনার পরেই আতঙ্কে তটস্থ হয়ে রয়েছেন ধরাইমাজুলি গ্রামের বাসিন্দারা। আতঙ্কে অনেককে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি হাতিটি গ্রামের বেশ কয়েকটি গবাদি পশুর ওপর এদিন হামলা চালায়। তাতে গ্রামের একাধিক গবাদি পশু আহত হয়েছে। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বারসালা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক গণেশ কুমার লিম্বু। তিনি নিহত এবং আহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।