Foreign currency recovered: কলকাতা স্টেশনে উদ্ধার প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা, পাচারের আগেই ধৃত বাংলাদেশি নাগরিক

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে এবার উদ্ধার হল প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। কলকাতা স্টেশন থেকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ লক্ষ টাকা এবং ১০ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার হয়েছে। এই অর্থ পাচারের অভিযোগে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে আরপিএফ। ধৃতের নাম মহম্মদ জলিল। বাংলাদেশের রায়গঞ্জের শরীয়তপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি মিক্সচার-গ্রাইন্ডারে লুকিয়ে টাকা পাচারের চেষ্টা করছিল। তবে তার আগেই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে আরপিএফ।

আরও পড়ুন: লোকসভার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রীর ব্যাগ খুলতেই উদ্ধার ১১ লক্ষ নগদ টাকা

জানা গিয়েছে, শনিবার মৈত্রী এক্সপ্রেস করে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য তিনি কলকাতা স্টেশনে পৌঁছেছিলেন। নিয়ম মেনে যাত্রীদের সেই সময় চেকিং করছিলেন আরপিএফ এবং কাস্টমস দফতরের আধিকারিকরা। সেই সময় জলিলের কাছে একটি মিক্সচার গ্রাইন্ডার দেখতে পান তারা। সেটি দেখে সন্দেহ হতেই খোলার সিদ্ধান্ত নেয় আরপিএফ। আর মিক্সচার গ্রাউন্ডারটি খুলতেই সেখানে প্রথমে কালো কাগজে মো়ড়া একটি রোল দেখতে পান তারা। পরে কাগজের রোল খুলতেই বেরিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণে টাকা ও মার্কিন ডলার। 

ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা এবং ১০,৭০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার হয়েছে। এই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে শুল্ক দফতর। ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করছেন আধিকারিকরা। তিনি কোথা থেকে টাকা পেয়েছিলেন? কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন? এর আগেও এই ধরনের কাজ করেছেন কিনা বা কতদিন ধরে তিনি এই কাজ করছেন? তার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত? তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন চলার কারণে এখন সর্বত্রই চলছে কড়া নজরদারি। টাকা পাচার বা অন্যান্য পাচার আটকাতে তৎপর হয়েছে পুলিশ থেকে শুরু করে অন্যান্য সংস্থাগুলি। পুলিশ ইতিমধ্যেই ভোটের মরশুমে প্রচুর পরিমাণে টাকা উদ্ধার করেছে। কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়িতে এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা উদ্ধার হয়েছে। আর এবার বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার হল কলকাতা স্টেশন থেকে। যদিও কলকাতা স্টেশনে বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম নয় এর আগেও উদ্ধার হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগকারী মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস কলকাতা স্টেশন থেকে চলে। তবে এই ট্রেনগুলিতে প্রায়ই পাচারের অভিযোগ শোনা যায়। আগে বিএসএফ প্রহরার দায়িত্বে ছিল। তবে এখন আরপিএফ ও জিআরপি দায়িত্ব সামলাচ্ছে। এছাড়াও ট্রেন ছাড়ার আগে অভিবাসন দফতর যাত্রীদের চেকিং করে।