Kharagpur TMC: নেতৃত্ব কার হাতে, খড়গপুরে দোটানায় তৃণমূল

রেল শহর খড়গপুর বিজেপি শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। ফলে লোকসভা নির্বাচনে খড়গপুরের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, এখানে দলের দায়িত্ব কার কাঁধে রয়েছে? তা নিয়ে দলের নেতৃত্বের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। একদিকে, দলের বিধায়ক দাবি অজিত মাইতি করছেন তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে, জেলা নেতৃত্বের দাবি মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় তৃণমূলের জেলা ও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন মানস ভুঁইয়া। যদিও কার কাঁধে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। 

আরও পড়ুন: ‘কাটমানি নিলেই গ্রেফতার করা হবে’ ১০০ দিনের বকেয়া মেটানো নিয়ে হুঁশিয়ারি মানসের

অজিত মাইতি দাবি করেছেন, পিংলায় একটি সভায় সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে শহর দেখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। অথচ মেদনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এই বিষয়টি তাদের জানা নেই। তাই নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দেয়। শুক্রবার খড়্গপুরের ইন্দায় একটি লজে জেলা ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। তাতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায়, তৃণমূলের পুর প্রতিনিধি এবং ওয়ার্ড সভাপতিরা। তবে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না অজিত।

বৈঠকে তৃণমূলের এক নেতা দাবি করেন, খড়গপুর শহরের দায়িত্বে কে রয়েছেন? সেটা ঠিক করে দেওয়া হোক। তবে অবশ্য তারপরে আর আলোচনা এগোয়নি। মানসের কাছ থেকেও এবিষয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন দলের নেত্রী আরও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন নেতা। খড়্গপুরে তিনি যা বলার বলে গিয়েছেন। কাজ বেশি করতে বলেছেন। তাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রচারে গতি বাড়াতে বলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে খড়গপুর বিধানসভা থেকে ৪৫ হাজার লিড পেয়েছিল বিজেপি। তবে এবার বিরোধী দলনেতা সেই লিডের টার্গেট ১ লক্ষ স্থির করেছেন। এমনিতেই সেখানে শাসক দল গোষ্ঠীদ্বন্দে জর্জরিত। ফলে এই অবস্থায় খড়্গপুরের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান মানস। তিনি জানান, এখানকার জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা ভালো কাজ করছেন।

প্রসঙ্গত, সুজয় হাজরার সঙ্গে অজিত মাইতির তিক্ত সম্পর্কের কথা সকলের জানা। অজিত দাবি করেছেন, দলের নেত্রী তাঁকে খড়গপুর দেখতে বলেছেন আর মানস ভুঁইয়াকে ঝাড়গ্রাম দেখতে বলেছেন। তবে ঝাড়গ্রামে সহযোগিতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মানুষ ভুঁইয়া। কিন্তু, অজিতকে খড়গপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে তিনিও নিশ্চিত নন। অন্যদিকে, জেলা সভাপতি সুজয়ের দাবি, মানস বাবুকে এখানকার দায়িত্ব দিয়েছেন দলনেত্রী।