Manipur: মণিপুরে শহিদ জওয়ানের দেহ ফিরল বাঁকুড়ার গ্রামে, গান স্যালুটে শেষকৃত্য

রবিবার সকাল সাতটা নাগাদ গ্রামে এল মণিপুরে জঙ্গি হানায় নিহত জওয়ানের দেহ। বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের পাঁচাল গ্রামে সিআরপিএফ জওয়ানদের একটি গাড়ি তাঁর দেহ গ্রামে আনে। গ্রামের মাঠেই রাখা হয় দেহ। গ্রামবাসীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

শুক্রবার গভীর রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুরে নারানসেনায় জঙ্গি হামলায় নিহত হন দুই সিআরপিএফ জওয়ান। তাঁদের মধ্যে একজন বাঁকুড়ার বাসিন্দা অরূপ সাইনি।

শুক্রবার রাতেই অরূপ তাঁর ভাইকে নিজের গুরুতর আহত হওয়ার কথা জানান। পরের দিন সকালে তাঁর মৃত্যু সংবাদ দেন সিআরপিএম আধিকারিক। খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রামেও।

এদিন গ্রামে অরূপের দেহ আসার খবর পৌঁছতে গ্রামীবাসীরা ভিড় করতে শুরু করেন। গ্রামের মাঠে আগে থেকে মঞ্চে তৈরি করা ছিল। সেই মঞ্চেই রাখা হয় অরূপের দেহ। সর্বদা হাসিখুসি অরূপের মৃত্যুতে শোকহত গ্রামবাসীরাও ।

আরও পড়ুন। অস্ত্র কোথা থেকে এসেছে জানি না, শাহজাহানকেও চিনি না, দাবি আবু তালেবের স্ত্রীর

এদিন সকালে গ্রামের মাঠে হাজির হন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি-সহ রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও। জাতীয় পতাকা মোড়়া কফিনে মালা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি-সহ রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও। এর পর জওয়ানরা তার দেহ কাঁধে করে তাঁর বাড়িত নিয়ে যায়।। সেখানে আধ ঘণ্টা দেহ রাখার পর নিয়ে যাওয়া হয় শশ্মানে। দেওয়া হয় গামন স্যালুট । তারপর অরূপের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

শোকাহত ভাই ধনঞ্জয় বলেন, ‘মাস খানেক আগে দোলের সময় দাদা বাড়ি এসেছিল। আবার সেপ্টেম্বরে বাড়িতে আসার কথা ছিল। এর মাঝেই শুক্রবার রাতে দাদা আহত হওয়ার পর আমাকে ফোন করে জানায়, পেটে গুলি লেগেছে, পা ভেঙেছে। দাদা বারবার বলছিল, আমি আর বাঁচব না! সে কথা যে এ ভাবে সত্যি হবে, বুঝতে পারিনি।’

২০০৪ সালে সিআরপিএফ জওয়ান হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন অরূপ দুর্গাপুরের অমরাবতীতে। পরে সেখান থেকে শ্রীনগর ও তারপর মণিপুরে পোস্টিং হয় তাঁর।

কী ঘটেছিল

শুক্রবার গভীর রাতে, কুকি জঙ্গিরা মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনায় অবস্থিত একটি সিআরপিএফ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। হামলায় দুই সিআরপিএফ জওয়ান নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। এই দুজনের মধ্যেএকজন বাংলার অরূপ। আহত জওয়ানদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর থেকেই রাজ্যটিতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সিআরপিএফ এই হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।  মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।