Abhishek Banerjee: ‘যোগ্যদের কাঁধে কাঁধ মিলি লড়াই করবে দল,’ চাকরিহারাদের বার্তা অভিষেকের

হাইকোর্টে চাকরি বাতিলের রায়ে স্থাগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। আদালতের এই নির্দেশের পরই চাকরিহারা যোগ্য প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিল তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, যোগ্যদের পাশে থেকে কাঁধে কাঁধ দিয়ে আইনি লড়াই চালাবে দল।

সোমবার অভিষেক বলেন,’মেধাযুক্ত যে যোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন, কেউ চিন্তা করবেন না আমাদের সরকার, আমাদের দল আপনাদের পাশে থেকে কোমর বেঁধে, কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করবে। কারও চাকরি যেতে দেব না। তার জন্য যা আইনি লড়াই, আমরা চালাব।’

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি গিয়েছে। রায়ে সুপারনিউম্যারিক পোস্ট তৈরি করার জন্য সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।

হাইকোর্টের চাকরি বাতিল রায়ে স্থগিতাদেশ না দিলেও সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদের দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার মামলার ফের শুনানি রয়েছে। ফলে হাইকোর্টের রায় নিয়ে শীর্ষ আদালত কী বলে তা শোনার জন্য সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এর আগে হাইকোর্টের রায় বেরোনোর পর মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেন চাকরিহারাদের পাশে থাকার। তাঁরা যাতে হতাশ না হয়ে পড়েন সেই জন্য বার্তা দেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। যতদূর লড়াই করার লড়াই করব।’

আরও পড়ুন। ‘মন্ত্রিসভা জেলে যেতে পারে’, বলল রাজ্য; যুক্তি শুনে SSC চাকরি বাতিল মামলায় বড় স্বস্তি দিল SC

এর পর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য শিক্ষা দফতর। মামলা করে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ সোমবার। শাসকদলের আশা ছিল শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেবে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ উচ্চ আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই এই নির্দেশ আসার পর চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।

আরও পড়ুন। মমতার পর এবার অভিষেকের বিরুদ্ধে! আদালত অবমাননার অভিযোগে ফের হাইকোর্টে কৌস্তভ

এদিন নিয়োগ মামলা নিয়ে বাম-বিজেপিকে নিশানা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘সিপিএমের বড় বড় নেতারা হাইকোর্টে মামলা করে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিয়েছে। সিপিএমের দোসর হল বিজেপি। একদিকে মমতার সরকার চাকরি দিচ্ছে, অন্যদিকে সিপিএম-বিজেপি চাকরি খাচ্ছে।’

আপতত সোমবার পরবর্তী শুনানির দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে চাকরিহারা শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের এবং শাসকদলকেও।