কলকাতাতে পরিশ্রুত পানীয় জলের চাহিদা বাড়লে উৎপাদন বাড়েনি। দৈনিক মাথাপিছু দেড়শ লটার জলের চাহিদাই এখন গিয়ে পৌঁছেছে ৪৫০ লিটারে। এই পরিস্থিতিতে জল অপচয় রোখার জন্য হাতজোড় করে শহরবাসীর কাছে আবেদন করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
তীব্র এই গরমে জলের চাহিদা বাড়লেও উৎপাদন বাড়েনি। উল্টে দেখা যাচ্ছে উৎপাদন কমেছে। গরমে গঙ্গার জলস্তর নেমে যাওয়ার ফলে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে জল তুলতে গিয়ে উঠছে কাদা। শুধুমাত্রা জোয়ারের সময় জল তোলা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে তবে কিছু দিনের মধ্যে জলের আকাল দেখা দেবে শহরে।
মেয়র জানিয়েছেন, এই অবস্থার মোকাবিলা করতে যতটা সম্ভব জল অপচয় রোধ করতে হবে। তবেই সব বাড়িতে চাহিদা মতো জল পৌঁছে দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, ২০১৬-র প্যানেলে চাকরি পাওয়া শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার
এক পুরকর্তার কথায়, বাড়িতে জলের কল খারাপ। সারাদিন ফোঁটা ফোঁট জল পড়তে থাকে। অনেকেই তেমন গা করেন না। এই ভাবে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ জল বেরিয়ে যায় সারাদিন হিসাবে তা মাপলে দেখা যাবে প্রায় চার লিটারের মতো। এই অবস্থা যদি একশ বাড়িতে হয় তবে প্রতিদিন প্রায় চারশ লিটার জল নষ্ট হচ্ছে। তাই পুর আধিকারিকদের পরামর্শ, কল থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়তে থাকতে অবিলম্বে তা বদলে নিন।
আরও পড়ুন। বৃষ্টির কাউন্টডাউন শুরু! ভিজবে কোন কোন জেলা? তাপপ্রবাহের মাঝে আবহাওয়ার ‘সুখবর’
কলকাতা শহরে বর্তমানে ৭২টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। আরও ১৫টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হওয়ার পথে। তবু তা গরমকালের প্রবল চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না।
মেয়রের অনুরোধ, অযথা কল খুলে রাখবেন না। ওভারহেড ট্যাঙ্ক ভর্তি হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাম্প বন্ধ করুন। পরিশ্রুত জল দিয়ে গাড়ি ধোবেন না। তাঁর আবেদন, ‘গরমে সকলে কষ্টে আছে। এই সময় জলের একান্ত প্রয়োজন। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি সকলের ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার। তাই এই সময়টা জল অপচয় করবেন না। অপচয় রুখে দিন।’
আরও পড়ুন। ৮০ সালের রেকর্ড ছুঁয়ে কলকাতায় আজ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি পার! পারদ ঠেকল কততে?
আরও পড়ুন। হবে না বৃষ্টি? আরও ভাজাভাজা হবে দক্ষিণবঙ্গ, ডিগবাজি হাওয়া অফিসের?