Durgapur NIT student death: জোর করে ইস্তফাপত্রে সই করানো হয়েছে, পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ NIT-র প্রধানের

দুর্গাপুর এনআইটির ছাত্র অর্পণ ঘোষের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাস চত্বর। কলেজের কর্মকর্তাদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল ক্ষুব্ধ ছাত্রদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পরে ইস্তফা দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইরেক্টর অরবিন্দ চৌবে। যদিও ডিরেক্টরের দাবি, তিনি নিজে থেকে ইস্তফা দেননি। পড়ুয়ারা জোর করে তাঁকে ইস্তফাপত্রে সই করতে বাধ্য করিয়েছেন। ইস্তফার পরেই তিনি ক্ষুব্ধ পড়ুয়া এবং পুলিশের উপর ক্ষোভ উগরে দেন।

আরও পড়ুনঃ ‘বাবা, আমি আর পারছি না!’ দুর্গাপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু

রবিবার হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় অর্পণের। ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ওই ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় পড়ুয়াদের মধ্যে। অভিযোগ ওঠে চিকিৎসক এবং ডিরেক্টরের গাফিলতির কারণে পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। তাদের দাবি, নানাভাবে সেখানকার পড়ুয়াদের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। চাকরি পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং কলেজ থেকে নানা রকম হয়রানির জেরেই মানসিক চাপ সইতে পারেননি অর্পণ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় ক্যাম্পাসে। 

অভিযোগ ওঠে, পড়ুয়ারা অরবিন্দ বাবুকে গলায় ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দেয়। এরপর একটি সাদা কাগজে ইস্তফাপত্র লিখে এনে তাতে জোর করে সই করিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। তাঁর বক্তব্য, ছাত্ররা তাঁকে হুমকি দেয় যে, সই না করলে মারধর করা হবে। এমনকী ইস্তফাপত্রে জোর করে সিল মারানো হয় বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন। 

শুধু তাই নয়, রেজিস্ট্রারকে জোর করে নিয়ে গিয়ে সেই ইস্তফা ত্র কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকে ইমেল করানো হয় বলেও তিনি দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, এর ফলে তিনি নিরুপায় ছিলেন। যদিও তিনি জানান, ওই ছাত্রের মৃত্যু বেদনাদায়ক। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশকে জানালেও পুলিশ আসেনি।

সূত্রের খবর, ওই ছাত্রের দুটি বিষয়ে কিছুটা সমস্যা ছিল। এনিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। পরীক্ষা পর তিনি হস্টেলে ফিরে যান। আর তারপরেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, ওই পড়ুয়ার বাড়ি ছিল ব্যান্ডেলে। তিনি হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন। তিনি দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। কিন্তু কেন তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, তাঁর একটি পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল। সেই কারণে অর্পণ অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।