Teacher death: মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, ২০১৬-র প্যানেলে চাকরি পাওয়া শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার

বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হল এক স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন ওই স্কুল শিক্ষক। কলকাতা হাইকোর্ট গত সপ্তাহে ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল। সেই রায়ের পর থেকেই মানসিক অবসাদে ছিলেন শিক্ষক। আর সোমবার ওই স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই স্কুল শিক্ষকের নাম বীরেন্দ্রনাথ সোরেন (৩৭)। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার মাচাতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপরশোলে।

আরও পড়ুনঃ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক শিক্ষকের, সংসারে অশান্তি, সন্তানদের বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুল শিক্ষক সিমলাপাল ভূতশহর হাইস্কুলের কর্মশিক্ষা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর পরিবারে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী,  দুই সন্তান এবং এক ভাই। রবিবার রাতে তিনি সকলের সঙ্গে খাবার খান। এরপর ঘুমোতে যান। কিন্তু,  সোমবার সকাল হতেই তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে বাড়ির কাছে একটি আম গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

উদ্ধার করে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সিমলাপাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের  জন্য পাঠায়।  যদিও কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।

আরও পড়ুনঃ চাকরি হারিয়ে ঋণের চাপে আত্মঘাতী হলেন ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষক, তদন্তে পুলিশ

মৃতের স্ত্রীর দাবি, ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পেয়ে ২০১৯ সালে যোগদান করেছিলেন বীরেন্দ্রনাথ। তবে হাইকোর্টের রায় শোনার পর কিছুটা চুপচাপ ছিলেন তিনি। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দাবি, বীরেন্দ্রনাথ ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পেলেও তিনি শারীরশিক্ষার শিক্ষক ছিলেন। ফলে যে প্যানেল বাতিল করা হয়েছে, সেই প্যানেলে তাঁর নাম ছিল না। 

অন্যদিকে, বীরেন্দ্রর ভাই জিতেন্দ্রনাথ সোরেনের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর দাদা। তিনি কাউকে সেভাবে কিছু বলতেন না। ফলে কেন তিনি আত্মঘাতী হলেন সেই বিষয়ে তাঁর জানা নেই। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তার ভিত্তিতে শিক্ষকের আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।