‘উচ্চশিক্ষিত মেয়েকে বিয়ে করার ভুল করবেন না’! ভাইরাল টিপস নিয়ে চটল নেটপাড়া

‘উচ্চশিক্ষিত নারীদের বিয়ে করাই উচিত নয়!’ এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেছেন ব্যক্তি। নারীদের শিক্ষার প্রয়োজনীতা আছে, বলছেন অনেকেই। সমাজে নারী-পুরুষের সমতা সৃষ্টির জন্যও চেষ্টা চলছে। অনেক নারীই প্রতিটি ক্ষেত্রে অসাধারণ হয়ে উঠেছেন। এমন সময়ে শিক্ষিত নারীদের নিয়ে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত এক বক্তব্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সুরাট-ভিত্তিক স্টক মার্কেট বিশ্লেষক বিজয় মারাঠে এক্সে নিজের অদ্ভুত মত প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘উচ্চশিক্ষিত কর্মজীবী ​​নারীদের বিয়ে করা যে কোনও পুরুষের জন্য সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত, এই ধরনের একজন নারী একটি বড় রেড ফ্ল্যাগ যাকে বলে।’ নারীদের ক্ষমতায়নমুখী সমাজের বিষয়ে এমন বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হয়েছেন ওই ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাঁর পোস্ট। ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ পোস্টটি দেখেছেন, অনেকে বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

  • নেটিজেনদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া

কেউ কেউ বৈষম্য বা বিচারের মুখোমুখি না হয়ে কেরিয়ার এবং শিক্ষা অর্জনের জন্য লিঙ্গ সমতা এবং নারীর অধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং এমন মতামতের নিন্দা করেছেন, যা পক্ষপাতদুষ্ট এবং গভীরভাবে বিরূপ মতামত প্রকাশ করে। একজন ফিটনেস প্রশিক্ষক  বিতর্কিত বিবৃতি দেওয়া ওই ব্যক্তিকে বলেছেন, আপনাকে এটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ কোনও উচ্চশিক্ষিত মহিলা আপনাকে অন্তত বিয়ের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন না। 

মাইকেল রুপম মাখাল নামে আরও ব্যবহারকারী আবার বিবাহের নানা দিক তুলে বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটা সত্য, এটা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। আমার স্ত্রী শিক্ষিত এবং স্বাধীন, কিন্তু আমরা একে অপরকে সমানভাবে সম্মান করি। বিয়ের আগে নারী-পুরুষের প্রকৃতি ও মানসিক স্বাস্থ্য খুঁজে বের করা উচিত।’

  • অনেকেই আবার সমর্থন করেছেন

নেটিজেনদের একাংশ ওই ব্যক্তির বিতর্কিত বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন। তাঁদের একজন বলেছেন যে শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে লোভী, স্বার্থপর করে তোলে। স্টক মার্কেট বিশ্লেষক তাঁর সমর্থনকারী পুরুষদের পোস্ট পুনরায় শেয়ার করেছেন এদিন।

  • সম্পর্কের জটিলতার দোষ শিক্ষার নয়, মানসিকতার

যদিও নেটিজেনদের একাংশের দাবি, আমাদের চারপাশে এমন অনেক ঘটনা ঘটে, যেখানে পুরুষদের সঙ্গে মহিলারা খারাপ ব্যবহার করেন। পুরুষরাও একই কাজ করে থাকেন। তাঁদের মধ্যে কেউ শিক্ষিত এবং কেউ তেমন শিক্ষিত নন। কিন্তু কোনও দোষই উচ্চশিক্ষিত হওয়ার জন্য নয়, দোষ আসলে তাঁদের মানসিকতার। দুর্ব্যবহার সুশিক্ষিত হওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, তিনি পুরুষ হোন বা নারী, তাই তাঁদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সমাজে নারী বা পুরুষদের পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত তৈরি করা অন্যায়।