Abortion: ৩০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাত আর চান না বাবা-মা, নির্দেশ প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল ১৪ বছরের কিশোরী। গত ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। তখন ভ্রূণের বয়স ছিল ৩০ সপ্তাহ বা ৭ মাস। তবে শেষ পর্যন্ত সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিল দেশের শীর্ষ আদালত। এই অবস্থায় ওই নাবালিকা যাতে সুস্থ সন্তানের যত্ন নিতে পারে সেই বিষয়ে চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ, ২৯ সপ্তাহে ১৪ বছরের নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি SC-র

গত ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিতে গিয়ে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল। শীর্ষ আদালত তখন পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, নাবালিকার স্বাস্থ্য হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সোমবার বেলা ২ টোর সময় এই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি এবং নাবালিকার পরিবারের আইনজীবী। নাবালিকার বাবা মা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে উপস্থিত হন। 

তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা মেয়ের গর্ভপাত করাতে চান না। পূর্ণ গর্ভাবস্থার জন্য অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘নাবালিকার কিছু ইচ্ছা আছে। চিকিৎসকরাও মায়ের ভালো চান। তাই আমরা তাদের অগ্রাহ্য করতে পারি না।’

উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের কাছ থেকে কিশোরীর বর্তমান অবস্থা ও গর্ভপাতজনিত সমস্যার জানতে চান প্রধান বিচারপতি। তারা আদালতকে জানায়, মেয়েটির গর্ভপাত করানো হলে অপ্রাপ্তবয়স্ক জীবিত শিশুর জন্ম হবে। তাছাড়া মা ও শিশুর পক্ষে তা ক্ষতিকর। এমনকী জীবনহানির আশঙ্কাও থাকছে। তাই এই গর্ভপাত করাতে চান না বলে জানিয়েছিলেন নাবালিকার অভিভাবকরা।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাদের বাবা মা। শীর্ষ আদালত মুম্বইয়ের সায়নের লোকমান্য তিলক মিউনিসিপাল মেডিক্যাল কলেজ এবং জেনারেল হাসপাতালের ডিনকে ভ্রূণ ও গর্ভপাতের জন্য চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো যখন মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে মেয়েটির গর্ভপাতের ব্যবস্থা করা হয় তখনই তার মা-বাবা তাতে আপত্তি জানান।