Darjeeling Toy Train Accident: দার্জিলিংয়ে টয় ট্রেনের সঙ্গে পর্যটক বোঝাই গাড়ির ধাক্কা, ফের দুর্ঘটনা পাহাড়ে!

সমতলে ৪০এর কোঠা ছাড়িয়ে গিয়েছে তাপমাত্রা। তবে দার্জিলিং পাহাড়ে আবহাওয়া কিন্তু বেশ আরামদায়ক। পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। টয় ট্রেন চড়ার জন্য তাদের উৎসাহ একেবারে চোখে পড়ার মতো। আর সেই টয় ট্রেন ফের দুর্ঘটনায় পড়ল দার্জিলিংয়ে। 

মঙ্গলবার দুপুরে একটা টয় ট্রেন পর্যটকবোঝাই গাড়িকে ধাক্কা দেয় বলে খবর। ঘুম থেকে দার্জিলিংয়ের দিকে যাচ্ছিল টয়ট্রেনটি। এদিকে মূল রাস্তার এক ধার দিয়েই টয় ট্রেনের লাইন। আর সেই লাইনের উপর কোনওভাবে গাড়িটি চলে গিয়েছিল বলে খবর।

 তার জেরে ট্রেনের সঙ্গে ওই চারচাকা গাড়ির ধাক্কা লাগে। এর জেরে ওই গাড়ির সামনের বাঁ দিকের অংশে আঘাত লাগে। এর জেরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাড়িটি। কিন্তু আশার কথা একটাই যে গাড়ির মধ্য়ে থাকা আরোহীরা সেভাবে আহত হননি। তবে গোটা ঘটনায় পর্যটকদের মধ্য়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 

তবে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গাড়িটিকে সরানো হয়। পর্যটকদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে সূত্রের খবর, গাড়িটিতে যে নম্বর প্লেট ছিল সেটা দিল্লির নম্বর। মনে করা হচ্ছে গাড়িটি শিলিগুড়ি বা দার্জিলিংয়ের গাড়ি নয়। কারণ অভিজ্ঞ গাড়ি চালক হলে তাঁরা টয় ট্রেনের লাইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সেক্ষেত্রে তাঁরা অত্যন্ত সতর্কভাবেই গাড়ি চালান। কিন্তু এক্ষেত্রে গাড়িটি কীভাবে টয়ট্রেনের লাইনে উঠে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

এদিকে ২০২২ সালে টয়ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ের দিকে রওনা দিয়েছিল টয় ট্রেনটি। শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন থেকে সুকনা স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। পথে দাগাপুরের পিন্টেল ভিলেজের কাছে এই ভয়াবহ ঘটনা। সম্ভবত ট্রেনটির কাছে কোনওভাবে ওই ব্যক্তি চলে এসেছিলেন। তখনই টয় ট্রেনটি তাকে ধাক্কা দেয়। এদিকে পাহাড়ে ওঠার আগেই এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে আরপিএফ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

এর আগে টয়ট্রেন বেলাইনের খবর সামনে এসেছিল। নিউজলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ের দিকে যাচ্ছিল টয়ট্রেনটি। আচমকাই সোনাদার কাছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পাহাড়ে স্বাভাবিকভাবে সন্ধ্যা যেন একটু আগে নামে। চারদিকে নিঝুম। পাহাড়ি পথে বেশ এগোচ্ছিল। আচমকাই বিপত্তি। শব্দ করে থেকে যায় টয়ট্রেন। ঝাঁকুনিও হয় ট্রেনে। সব মিলিয়ে ৩৫ জন যাত্রী ছিল ট্রেনে। তাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুটি এসি কামরা বেলাইন হয়ে গিয়েছিল। তবে খবর পেয়ে দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন এলাকায় যায়।

ট্রেনে থাকা পর্যটকদের দ্রুত দার্জিলিংয়ে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মূলত শেয়ার গাড়িতে চাপিয়ে তাঁদের দার্জিলিংয়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে বেলাইন গাড়িটিকে ফের লাইনে ফেরানোর চেষ্টাও হয়েছে পুরোদমে। তবে কীভাবে টয় ট্রেন বেলাইন হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও টয় ট্রেন পাহাড়ে বেলাইন হয়েছে। ২০১৭ সালে কার্শিয়াংয়ের মহানদী এলাকায় টয় ট্রেনের চাকা বেলাইন হয়ে গিয়েছিল।