Health Ministry: ঘড়ি-আংটি-তাগায় সংক্রমণের শঙ্কা, হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক

নিয়ম আগেই ছিল। এবার সেই নিয়মকে নির্দেশিকা আকারে পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালগুলিকে মনে করিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সংকটজনক কোনও রোগীর চিকিৎসায় কনুয়ের নীচে কোনও ভাবে কোনও অলঙ্কার বা ঘড়ি পরা যাবে না। এমনকি চিকিৎসার সময় মোবাইলও ধরা যাবে না হাতে।

এই নিয়ম আগে থেকেই ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে অপারেশন থিয়েটার বা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটগুলোত সংক্রণের সম্ভাবনা বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন সে কারণে কেন্দ্রীয় সরকার এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে আবার বিষয়টি মনে করাতে চাইছে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস, অতুল গোয়েল এই চিঠি পাঠিছেন কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালগুলির অধিকর্তা ও সুপারদের। 

আরও পড়ুন। বাতিল ১৪টি পতঞ্জলি পণ্যের লাইসেন্স, রামদেবের বিরুদ্ধে দায়ের ফৌজদারি মামলা

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিয়ের মধ্যে বাইরের জুতো পড়ে ঢুকে পড়ছেন চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। তাঁদের হাতে ঘড়ি বা অন্য অলংকার তো থাকেই।  কারও আবার কব্জির উপর বাঁধা থাকে ধর্মীয় তাগা-তাবিজও।  কেউ আবার মোবাইল নিয়ে রোগীর কাছে চলে যান। ফলে বাড়ে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের আশঙ্কা।  বাড়ে রোগীর ঝুঁকিও। 

কেন্দ্রের এই চিঠি দেখার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও ভাবনা-চিন্তা করছে এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করার।   রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘হাসপাতালগুলিকে নিয়ে নিয়মিত যে প্রশিক্ষণ হয়, সেখানে এই বিষয়টি সব সময়েই বলা হয়। অনেকে মেনেও চলেন। তবে প্রয়োজনে নির্দেশিকাও জারি করা হবে।’

আরও পড়ুন। ‘খুব বিরল ক্ষেত্রে….’,কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার

চিকিৎসকরাও এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন। ধর্মীয় ভাবাবেগের কারণে অনেকেই তাগা, বালা, চুড়ি বা আংটি পড়েন। অনেকে আবার পুরো জামা পরে রোগী দেখেন। যা কোনও ভাবেই ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে ওই সমস্ত জিনিসের মধ্যে সংক্রামক জীবাণু অনেকক্ষণ বেঁচে থাকে। সংক্রামক রোগীর চিকিৎসার সময় অনেকে হাত ধুলেও ওই সমস্ত জিনিস ধুয়ে নেন না। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যায়।

সংক্রামক রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে পোশাক বিধি নিয়েও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। তাতে হাফ হাতা জামা পরতে বলা হয়েছে। কেউ যদি ফুল হাতা জামা পরেও থাকেন তবে তা গুটিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

ধর্মীয় ভাবাবেগের ঊর্ধ্বে উঠে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে চিকিৎসকরা।