Police ASI assaulted: রাতের কলকাতায় ফের কর্তব্যরত পুলিশকে নিগ্রহ, ছিঁড়ে দেওয়া হল উর্দি, গ্রেফতার ২

কলকাতায় আবারও পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগ। দুজনের বিবাদ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক এএসআই। এই অভিযোগে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মইনুদ্দিন মণ্ডল এবং মহম্মদ দৌলত মণ্ডল। অভিযোগ, তারা দুজন মিলে রাজাবাগান থানার এএসআই সফিকুল আলমের গায়ে হাত তুলেছিল। এমনকী এএসআইয়ের উর্দি পর্যন্ত ছিঁড়ে দেওয়া হয়। বউবাজারের পর রাজাবাগানে এমন ঘটনায় কলকাতার পুলিশ মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বারবার আক্রান্ত হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে পুলিশেরই নিরাপত্তা নিয়ে।

আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে টহলদারি পুলিশের ওপর হামলা দুষ্কৃতীদের, ভাঙল গাড়ির কাচ, আহত ৫

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত সাড়ে ১২ টার পর। রাজাবাগান থানার এলাকার এস এ ফারুকি রোডে পুলিশ কর্মীরা মোটরবাইকে টহল দিচ্ছিলেন। তখন এক লরি চালকের সঙ্গে মইনুদ্দিনের বচসা বাঁধে। তা দেখার পরেই সেখানে যান এএসআই। তিনি দু’জনের বচসা থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, সেই সময় মইনুদ্দিন অফিসারকে গালিগালাজ করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, এরপরেও ক্ষান্ত না হয়ে মইনুদ্দিন তার কয়েক সঙ্গীকে সেখানে ডেকে আনে। পরে ওই পুলিশ অফিসারকে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। তাঁর উর্দি টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এমনকী পুলিশ অফিসারকে হুমকিও দেয় তারা। 

এভাবে কর্তব্যরত অফিসারকে নিগ্রহের পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  দুজনকে আটক করে প্রথমে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আরও বেশ কয়েকজন এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে, ঘটনায় আক্রান্ত এএসআইকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বউবাজারের চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও গণেশ অ্যাভিনিউয়ের মোড়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। এক চিকিৎসকের গাড়ি অন্য গাড়িকে ধাক্কা মারে। তাই নিয়ে দুই গাড়ির চালকের মধ্যে বচসা বাঁধে। হেড কোয়ার্টার্স ট্র্যাফিক গার্ডের এক সার্জেন্ট চিকিৎসককে থানায় যেতে বলেন। তবে চিকিৎসক যেতে অস্বীকার করেন।  এই ঘটনায় চিকিৎসক পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসক তার কয়েকজন সঙ্গীকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠায়। এরপর পুলিশ কর্মীদের নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ।