মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস নেতাকে বন্দুক হাতে তাড়া করলেন TMCর অঞ্চল সভাপতি

ভোটের ঠিক ১ সপ্তাহ আগে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে প্রকাশ্যে চলল অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি। বুধবার জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের খড়গ্ৰাম বিধানসভার দেয়ারা -মল্লিকপুর গ্ৰামে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। আর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি করার সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়েছে মোবাইলে। যা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন: আগামিকাল মাধ্যমিকের রেজাল্ট! কখন বেরোবে? কোন সময় অনলাইনে দেখাবে? কীভাবে দেখবেন?

পড়তে থাকুন: শাহজাহানের ভাই সিরাজের বাড়িতে CBI, তলবের নোটিশ দেওয়ালে সেঁটে এলেন গোয়েন্দারা

জানা গেছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই ওই এলাকায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের বিবাদ চরমে পৌঁছয়। সোমবার এই খড়গ্ৰাম এলাকায় নির্বাচনী জনসভা করে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারও পার্শ্ববর্তী ব্লক বড়ঞায় সভা করেন তিনি। তারই মাঝে এই ঘটনায় ব্যপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। অভিযোগ, ভোটের আগে কংগ্রেস নেতাদের ভয় দেখানোর উদ্দেশে তৃণমূলের এই হামলা চালিয়েছে। গতকাল ওই এলাকায় কংগ্রেসের একটি পথসভা হয়। আর সেখান থেকেই শুরু দুই দলের বির্তক যা আজ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।

এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘পুলিশের মদতে এলাকায় তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়ে বেড়াচ্ছে। নইলে প্রকাশ্য দিবালোকে বন্দুক বার করে কংগ্রেস নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর সাহস হবে কী করে? আসলে মুর্শিদাবাদের ৩ কেন্দ্রেই তৃণমূল হারতে চলেছে। বাম ও কংগ্রেস জোট এই ৩ আসনে জিতবে। সেই ইঙ্গিত পেয়েই মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল।’

আরও পড়ুন: আবু তালেবের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত ব্যাগে আরও ২টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র পেল CBI

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়গ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।