মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভা ছিল বীরভূমের সিউড়িতে। সেই সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি থানার গাংটে গ্রামে। সেখানকার মণ্ডল বিজেপির সহ সভাপতি মিলন বেদে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় মিলন এবং তাঁর মাকে আহত অবস্থায় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীকে মারধর, স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল
বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সিউড়িতে যোগী আদিত্যনাথের সভায় যোগ দেওয়ার জন্যই তাঁকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে যায় এবং মিলন ও তাঁর মাকে উদ্ধার করে সিউড়ি হাসপাতালে ভরতি করে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
মিলন জানান, বাড়ি ফেরার পর বিজেপির দুষ্কৃতীরা মদ্যপ অবস্থায় তাঁর ওপর হামলা চালায়। তাঁর পরিবারের সকলের উপর হামলা চালায় তারা। এমনকী প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। আহত বিজেপি নেতার মা সাবিত্রী বেদে বলেন, ‘ওরা রাত ১২ টার দিকে আমাদের বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালায়। এরপর আমার ছেলেকে মারধর করতে শুরু করে। আমি আটকাতে গেলে গলার টুঁটিচেপে ধরে আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।’ তাঁর অভিযোগ, অচিন্ত বেদে, রাহুল বেদে সহ অন্যান্য তৃণমূলের কর্মীরা ছিল।
আহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী সনকা বেদে বলেন, একসঙ্গে অনেক জন ছিল বাড়ির বাইরে এসে প্রথমে গালিগালাজ করছিল। এরপর ওরা বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে তাঁর স্বামীকে। মারধর করে। কেন আদিত্যনাথের সভায় গেলেন? এই প্রশ্ন তুলে তারা মারধর করে বলে অভিযোগ।
এবিষয়ে বিজেপি নেতা উৎপল হরি মণ্ডলের অভিযোগ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সভাপতি বলরাম বাগদীর নেতৃত্বেই হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূলের হুঁশিয়ারি, এখানে বিজেপি করা যাবে না। মূলত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুখেন বেদে এবং পঞ্চায়েত সভাপতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে মিলনকে হাসপাতালে ভরতি করে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই ঘটনায় এফআইআর করব।’
ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বলরাম বাগদি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ। এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র নেই। ওরা বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে ফুটেজ পেতে চাইছে। ওদের কোনও সংগঠন নেই । মানুষ ওদের বিশ্বাস করে না। বিজেপি মানে মিথ্যার উপরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ওদের বুথের কর্মীরা সবাই মিথ্যের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। তৃণমূল দলীয় নির্দেশে ছাড়া কেউ কোনও কাজ করে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে এখানকার মানুষ ওতপ্রোতভাবে তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত। সেই কারণে মিথ্যা ছড়িয়ে ফুটেজ পেতে চাইছে বিজেপি।’