Calcutta High Court: দ্বিতীয় হয়েও মেলেনি চাকরি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০২০র নিয়োগেও দুর্নীতির ছায়া!

দুর্নীতির দায়ে এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটাই খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার দুর্নীতির ছায়া SSCর ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও। এক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, মেধাতালিকায় তাঁর নাম দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও নিয়োগ পাননি তিনি। একথা শুনে SSCকে রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত।

আরও পড়ুন: আগামিকাল মাধ্যমিকের রেজাল্ট! কখন বেরোবে? কোন সময় অনলাইনে দেখাবে? কীভাবে দেখবেন?

পড়তে থাকুন: শাহজাহানের ভাই সিরাজের বাড়িতে CBI, তলবের নোটিশ দেওয়ালে সেঁটে এলেন গোয়েন্দারা

মামলাকারী রানি সোনা-র দাবি, ২০২০ সালে সাঁওতালি মাধ্যম স্কুলে জীববিদ্যার শিক্ষকের পদের জন্য পরীক্ষা দেন তিনি। ফল প্রকাশ হলে তিনি দেখেন, মেধাতালিকায় তাঁর নাম রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। চাকরির আশায় বছরভর বসে থাকলেও ইন্টারভিউর জন্য SSCর থেকে কোনও ডাক পাননি তিনি। SSCকে চিঠি দিয়েও কোনও কাজ হয়নি।

বুধবার মামলাটি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে ওঠে। মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্যক্তি চাকরি পাননি শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। প্রশ্ন করেন, তাহলে চাকরি পেয়েছে কারা? এর পর SSCকে ২ সপ্তাহের মধ্যে কেন ওই প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি তার জবাব দিতে বলেন তিনি।

এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ২০২০ সালে SSCর নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে? নইলে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্যক্তি নিয়োগ পেলেন না কেন?

আরও পড়ুন: আবু তালেবের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত ব্যাগে আরও ২টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র পেল CBI

গত ২২ এপ্রিল এক রায়ে SSCর ২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ার গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশ বসাকের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে ২৫,৭৫৩ জন চাকরি হারিয়েছেন। গ্রুপ ডি, গ্রুপ সির শিক্ষাকর্মী ও নবম – দশম ও একাদশ – দ্বাদশের শিক্ষকরা চাকরি হারিয়েছেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে SSC ও রাজ্য সরকার। কিন্তু চাকরি বাতিলের নির্দেশের ওপরে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।