GTA recruitment scam: শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, মামলায় প্রয়োজন হতে পারে যাবতীয় তথ্য, সংগ্রহ করছে জিটিএ

সমতলের মতো পাহাড়েও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভোটের মধ্যে এমন অভিযোগকে ঘিরে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার । আদালতে এনিয়ে মামলাও চলছে। এই অবস্থায় পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করল গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। এনিয়ে জিটিএর শিক্ষা বিভাগের তরফে কালিম্পং এবং দার্জিলিংয়ের স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়ে তাতে ৭ বছরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষকরা কী কী নথি জমা দিয়েছিলেন তাও রিপোর্টে স্পষ্টভাবে জানাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘মন্ত্রিসভা জানতই না’ পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের ‘দুর্নীতির’ দায় এড়াতে মরিয়া রাজ্য

জিটিএর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যেহেতু মামলা চলছে তাই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। সব ধরনের রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। যাতে আদালত চাইলেই দ্রুত এই সমস্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ৭৫১ জন শিক্ষক শিক্ষিকার রিপোর্ট তৈরি করছে জিটিএ। যদিও নিয়োগে  অনিয়ম হয়নি বলেই দাবি করেছেন ‘জিটিএ’র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শক্তিপ্রসাদ শর্মা। তিনি জানান, কোনও কিছুই বেআইনিভাবে হয়নি। সব নিয়ম মেনে হয়েছে।

এই মামলায় প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বহাল রাখে। এই মামলায় রাজ্য হলফনামাও জমা দিয়েছে। তাছাড়া, সিবিআইয়ের তরফে গত ২৫ এপ্রিল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ মে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের মামলার শুনানি হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে সিবিআই বা অন্য কোনও সংস্থা আপাতত মামলায় তদন্ত করবে না। দু সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

পড়ুনঃ GTA শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ পুড়ল রাজ্যের! ডিভিশন বেঞ্চেও মালুম হল ‘গরম’

‘জিটিএ’র চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপা এবিষয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে নারাজ।  জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্বত্য পরিষদ যখন এখানে ছিল তখন দু দফায় ৬৩০ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়মিতকরণ হয়েছে ২০১২ সালে। তবে ‘জিটিএ’ পাহাড়ে দায়িত্বে আসার পরে ২০১৯ সালে ১২১ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে স্থায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ হয়েছে। তাই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন।