Minors deliver in govt hospital: নিয়ম ভাঙল সরকারি হাসপাতাল! বেআইনিভাবে ৭ নাবালিকার প্রসব, রিপোর্ট তলব

বেআইনিভাবে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাদের প্রসব করানোর অভিযোগ উঠল রাজ্যের একটি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ উঠেছে কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রশাসনকে না জানিয়ে সেখানে অন্তত ৭ নাবালিকার প্রসব করানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়ম মানেনি বলেই অভিযোগ। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিটি। এই ঘটনায় কমিটির তরফে পুলিশকে পকসো আইনে মামলা রুজু করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, আশাকর্মীরাই নাকি নাবালিকাদের নিয়ে এসেছিলেন। সেই সমস্ত আশাকর্মীদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

আরও পড়ুনঃ হাসপাতালে মিলল না চিকিৎসক ও নার্স, একা প্রসব করে নবজাতককে হারালেন তরুণী

নিয়ম অনুযায়ী, কোনও নাবালিকা প্রসব বা গর্ভপাতের জন্য হাসপাতালে ভরতি হলে সে ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নার্সিংহোম অথবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পুলিশ প্রশাসন এবং শিশু সুরক্ষা কমিটিকে বিষয়টি জানতে হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গ করেছে কাঁথি মহাকুমা হাসপাতাল। প্রসঙ্গত, রাজ্যে নাবালিকা মায়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন । তার ওপর আবার এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই নাবালিকা অন্তঃসত্তা হওয়ার সংখ্যা বেশি। এই অবস্থায় সরকারি হাসপাতালে গোপনে প্রসবের অভিযোগ ওঠায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। 

নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতকুমার দেওয়ান জানিয়েছেন, হাসপাতাল সুপার ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তাঁর কাছে এবিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। পাশপাশি পুলিশকেও এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার শেখ মইদুল ইসলাম আবার এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটি। তাদের তরফে জানানো হয়েছে এই ধরনের ৭ টি অভিযোগ এসেছে। প্রতিটির ক্ষেত্রে পকসো আইনে মামলা রুজু করার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে একদিনে ১০ শিশুর মৃত্যু, অপুষ্টিকেই দায়ী হাসপাতালের

জানা গিয়েছে, মহকুমা হাসপাতালের যাদের প্রসব হয়েছে সেই নাবালিকার মধ্যে এক জনের বয়স ১৬ বছর এবং অন্য জনের ১৭ বছর। তবে এর মধ্যে অনেকেই অবিবাহিত।  এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক জয়শী দাশগুপ্তের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাচ্ছে।