Sandeshkhali Investigation: শাহজাহানের ভাই সিরাজের বাড়িতে CBI, তলবের নোটিশ দেওয়ালে সেঁটে এলেন গোয়েন্দারা

সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে এবার শেখ শাহজাহানের আরেক ভাই শেখ সিরাজ ওরফে সিরাজ ডাক্তারকে তলব করল সিবিআই। এদিন সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিকে নোটিশ ধরান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

বুধবার ৪টি দলে ভাঙ হয়ে সন্দেশখালিতে অভিযান চালায় সিবিআই। তার মধ্যে একটি দল পৌঁছয় আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ সিরাজের বাড়িতে। সেখানে তাঁকে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি তদন্তকারীরা। এর পর বাড়ির প্রধান দরজার সামনে নোটিশটি সাঁটিয়ে দেন তাঁরা। তাতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার মধ্যে সিরাজকে নিজাম প্যালেসে সিরাজকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আগামিকাল মাধ্যমিকের রেজাল্ট! কখন বেরোবে? কোন সময় অনলাইনে দেখাবে? কীভাবে দেখবেন?

পড়তে থাকুন: মুম্বই হামলার দায় গেরুয়া শিবিরের ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছিল কংগ্রেস: মোদী

আকুঞ্জিপাড়ায় একই উঠোনে শাহজাহানের বাড়ির ঠিক পাশের বাড়িটি শেখ সিরাজের। নিজেকে হোমিওপ্যাথ বলে দাবি করেন সিরাজ। সরবেড়িয়া বাজারে তাঁর একটি চেম্বার রয়েছে। সেজন্য স্থানীয়রা তাকে সিরাজ ‘ডাক্তার’ বলে ডাকেন। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকায় চলত সিরাজ ডাক্তারের রাজত্ব। শাহজাহানের হয়ে জমি দখলসহ যাবতীয় কুকর্ম আসলে করত সে-ই। স্থানীয়দের অভিযোগ, শাহজাহান বাহিনীর কাজে কোনও গ্রামবাসী কোনও রকম বাধা দিলে তাকে সিরাজ ডাক্তারের ‘ডাক্তারখানা’য় তুলে নিয়ে যেত দুষ্কৃতীরা। এর পর ‘ডাক্তারখানা’র দোতলায় কংক্রিটের পিলারে সেই ব্যক্তিকে বেঁধে কোদালের বাঁট দিয়ে পেটানো হত। মারের চোটে অনেকে সংজ্ঞা হারাতেন। তাদের তখন বাড়ি ফেরত দিয়ে আসত দুষ্কৃতীরা। কোনও ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে রাতে শাহজাহান বাহিনীর কাছে পাঠাতে রাজি না হলে তারও একই পরিণতি হত বলে অভিযোগ।

এদিন শেখ সিরাজের বাড়ি ছাড়াও শাহজাহান মার্কেটে যান তদন্তকারীরা। সেখানে এক দোকানদারকে হাজিরার নোটিশ ধরান তাঁরা। এছাড়া সিরাজুল মির নামে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান তাঁরা। আরও কয়েকজনের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর করেন। কিন্তু কাউকেই বাড়িতে পাননি তাঁরা।

আরও পড়ুন: ‘আমি বেঁচে থাকতে ধর্মের নামে মুসলিমদের সংরক্ষণ দিতে দেব না’, বড় দাবি মোদীর

সন্দেশখালিকাণ্ডে যাবতীয় জমি দখল ও নারী নির্যাতনের তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সুবিধা করতে পারেনি তারা। আদালত প্রশ্ন করেছে, ব্যক্তিবিশেষকে বাঁচাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এত উচাটন কেন? হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ তো দূরে থাক, মামলাটির শুনানি ৩ মাস পিছিয়ে দিয়েছে আদালত।