Trying to open emergency door in flight: অবতরণের আগেই মাঝ আকাশে আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা বাংলার বাসিন্দার!

বিমানে উঠে মাঝ আকাশে কখনও যাত্রীর মদ্যপান আবার কখনও ধূমপানের অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। আর এবার মাঝ আকাশে এক যাত্রী যা করলেন তাতে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। আসলে ওই যাত্রী মাঝ আকাশে বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করলেন। তবে বিমান কর্মীদের নজরে আসতেই তারা তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নেন। যাত্রীর এমন কাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিমান কর্মী থেকে শুরু করে অন্যান্য যাত্রীরা। পরে বিমানবন্দরে অবতরণ করতেই ওই যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। অভিযুক্ত যাত্রীর নাম কৌশিক করণ (২২)। তিনি বাংলার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: মাঝ আকাশেই বুকে যন্ত্রণা, কলকাতায় জরুরি অবতরণ বিমানের, তারপর…

জানা গিয়েছে, ওই যাত্রী ইন্ডিগোর বিমানে চড়ে কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন।তাঁর সিট নম্বর ১৮। এই আসনটি ছিল বিমানের আপৎকালীন দরজার ঠিক পাশেই। যাত্রী বিমানে ওঠার পর কোনওরকমের অভব্য আচরণ করেননি। তবে বিমানটি বেঙ্গালুরুর কাছাকাছি আসার পর অবতরণের ঠিক আগেই  যাত্রী আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করেন। তখন বিষয়টি কেবিন ক্রুদের চোখে পড়ে। তড়িঘড়ি তারা সেখানে ছুটে গিয়ে যাত্রীকে এমন কাজ করা থেকে বিরত রাখেন। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ আতঙ্ক তৈরি হয় বিমানের মধ্যে। পরে বিমানটি অবতরণের পরেই ওই যাত্রীকে নিরাপত্তা আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন বিমান কর্মীরা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত কৌশিক করণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৩৬ ধারার (অন্যের জীবন বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিপন্ন করার কাজ) অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তের সময় কৌশিককে জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছে, এটিই প্রথমবার বিমানে ভ্রমণ ছিল ওই যুবকের। ফলে তিনি নিয়ম সম্পর্কে জানতেন না। 

পুলিশের কাছে ওই যুবক দাবি করেছেন, এ বিষয়ে তার জানা ছিল না। এটা অনিচ্ছাকৃত ছিল। তিনি শুধু উঠে দাঁড়ানোর জন্য দরজাটি ধরে রেখেছিলেন। জানা গিয়েছে, কৌশিক এমসিএ-এর প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। বেঙ্গালুরুতে তার এক আত্মীয় আছে। সেই আত্মীয়র সঙ্গে তিনি দেখা করতে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গত বছর একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল দিল্লি – বেঙ্গালুরু ইন্ডিগো বিমানে। ৪০ বছর বয়সি এক যাত্রী বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করছিলেন। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে আটকে ফেলেন বিমান কর্মীরা।