Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতির শুনানিতে বড় মোড়, অকারণে মুখ্যসচিবকে ভর্ৎসনা করছিলাম: হাইকোর্ট

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি নিয়ে মুখ্যসচিব ও আদালতের টানাপোড়েনের মধ্যে এবার বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিবিআই। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে তাদের বিরুদ্ধে অযোগ্যতার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে অন্তত ২ জনের নিয়োগকর্তা রাজ্যপাল। ফলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার কোনও এক্তিয়ারই নেই মুখ্যসচিবের।

আরও পড়ুন: ৩০ শতাংশ লোক মসজিদ ভাঙলে ৭০ শতাংশ লোক চুপ করে বসে থাকবে না, বললেন তৃণমূল বিধায়ক

পড়তে থাকুন: সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তও করতে পারবে না পুলিশ

আদালতে উলটপুরাণ

নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু নিয়ে অবস্থান জানাতে মুখ্যসচিবকে বারবার নির্দেশ দিচ্ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। এদিন আদালতে অন্যতম অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে সুবীরেশ ভট্টাচার্য ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নিয়োগকর্তা রাজ্যপাল। তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ারই নেই মুখ্যসচিবের। অপদার্থ সিবিআই আধিকারিকরা এটাও জানেন না কার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে কার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। সুবীরেশ ও কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিতে পারেন রাজ্যপাল।

একথা শুনে সিবিআইয়ের ওপর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। তিনি বলেন, আপনাদের কথা শুনে আদালত এতদিন ধরে মুখ্যসচিবকে উদ্দেশ করে কড়া মন্তব্য করছে। আগামী মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলেন রাজভবনের কর্মী

অনুমতি নিয়ে টানাপোড়েন

নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর অনুমতি নিয়ে প্রায় ২ বছর ধরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সিবিআইয়ের টানাপোড়েন চলছে। সিবিআই বিচার শুরুর অনুমতি চেয়ে বারবার চিঠি দিলেও কোনও সদুত্তর দেননি মুখ্যসচিব। শেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তদন্তকারীরা। হাইকোর্টের একের পর এক নির্দেশের পরেও এব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পস্ট করেননি মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা।