CV Ananda Bose: বিতর্কের মধ্যে রাজভবন ছাড়লেন রাজ্যপাল, সফর পূর্বনির্ধারিত বলছে তাঁর অফিস

তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনেছেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলাকর্মী। যদিও রাজভবন থেকে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিতর্কের মাধেই কলকাতা ছাড়লেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে তিনি কোচি গিয়েছেন।

সফর পূর্বনির্ধারিত

রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে বৃহস্পতিবার রাজভবনে থাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সকালে তিনি রাজভবন ছাড়তেই কোচির উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সফরের পিছনে কোনও জল্পনার অবকাশ নেই। এই সফর পূর্বনির্ধারিত ছিল। সেই পূর্বনির্ধারিত সফরেই কোচি গিয়েছেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন। ‘২ দিন পরে আবার একটা মেয়ের সঙ্গে এরকম করবেন’ রাজ্যপাল, কান্না ‘নিগৃহীতা’ যুবতীর

রাতে রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী

এদিকে রাজ্যে ভোট প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আজ তিনটি সভা করবেন। বর্ধমান, কৃষ্ণনগর ও বোলপুরে। এই তিন সভার জন্য শনিবারই শহরে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। প্রটোকল অনুযায়ী রাতে রাজভবনে থাকেন তিনি। শুক্রবার সকাল ১০টা ১২ মিনিটে তিনি রাজভবন ছাড়েন। প্রধানমন্ত্রীর এই রাত্রিবাস উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তা ছিল রাজভবনে। সকালে প্রধানমন্ত্রী বেরিয়ে যেতেই ১০টা ৩৫ মিনিটে রাজভবন থেকে কোচির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

আরও পড়ুন। নির্বাচনী ফায়দা তুলতে বানানো অভিযোগ, বিবৃতি দিয়ে জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

আরও পড়ুন। সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তও করতে পারবে না পুলিশ

শ্লীলতহানীর অভিযোগ

বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করেন রাজভবনের একটি অস্থায়ী মহিলা কর্মী। তিনি হেয়ার স্ট্রিট থানা অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর শ্লীলতাহানী সংক্রান্ত অভিযোগের অডিও ক্লিপও প্রকাশ্যে চলে আসে। সেই অডিয়ো খতিয়ে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।

যদিও রাজভবন থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বিবৃতি দিয়ে এও বলা হয় যে, ভোটের বাজারে ‘ফায়দা তুলতে’ এই সব অভিযোগ করা হচ্ছে। রাজ্যপাল বলেন,সত্যের জয় হবে। বানানো অভিযোগের সামনে মাথানত করতে রাজি নই আমি। আমায় কালিমালিপ্ত করে কেউ যদি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চান, ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুক। কিন্তু বাংলায় দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে আমার লড়াইকে থামাতে পারবেন না তাঁরা।’

রাজভবনের নিষেধাজ্ঞা

মহিলাকর্মীর অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। এই অভিযোগ নিয়ে সরব হন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রাজভবনে পুলিশ প্রবেশও নিষিদ্ধ করেন রাজ্যপাল।