আবার কাঁদলেন তিনি। এর আগেও কেঁদেছিলেন। ফের কাঁদলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। কার্যত আবেগেই তাঁর চোখে জল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দল যখন কার্যত একের পর এক ক্ষেত্রে একা করে দিয়েছে কুণালকে তখনই দেখা গেল কর্মীরা স্লোগান দিলেন, কুণাল ঘোষ জিন্দাবাদ। এরপরই কুণাল ঘোষ কর্মীদের এভাবে পাশে পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন।
দলের মুখপাত্রের পদ থেকে আগেই সরে গিয়েছিলেন। এরপর দল তাঁকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এমনকী তারকা প্রচারকের তালিকাতেও আর নাম নেই কুণালের। কার্যত একলা কুণাল! তবু ঘাসফুল আঁকা পতাকাটা এখনও ছাড়েননি। তবে আগামী দিনে এটা ছাড়বেন না এমন নিশ্চয়তা দিচ্ছে কে?
তিনি কখনও বলছেন, তিনি তৃণমূল কর্মী ছিলেন আছেন থাকবেন। কখনও আবার বলছেন থাকার চেষ্টা করব। সেই সঙ্গেই এদিন তিনি বলেন, পদে নয় পথে আছি। এরপই স্লোগান ওঠে কুণাল ঘোষ জিন্দাবাদ। এরপর আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। কথা বলতে গিয়ে ধরে আসে কুণালের গলা। চোখে জল। কুণালের এই চোখে জল দেখে আবেগে ভেসে যান কর্মীদের একাংশও। বার বার রুমাল দিয়ে চোখের জল মোছেন তিনি।
কুণালের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে গিয়েও দিব্যি তারকা হয়ে বসে রয়েছেন অনেকে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেই। তবে তাঁর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনও আফসোস নেই তার। এমনটাই জানিয়েছেন কুণাল।
কিন্তু সত্যিই কি কুণালের কোনও আফসোস নেই? সারদা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ। সেই ক্ষত আজও দগদগে। এরপর সেই ভয়াবহ জেলযন্ত্রণা কাটিয়ে তিনি ফিরে এসেছেন। এরপর তিনি তৃণমূলেই থেকে গিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও তিনি কতটা সম্মান পেয়েছেন দলের অন্দরে, সেই প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তিনি এবিপি আনন্দে জানিয়েছেন, রাতে আজও সেই ক্লিপগুলি ( জেলযন্ত্রণার) দেখি যাতে ক্ষতগুলি ভুলে না যাই।
বিজেপির বিরুদ্ধে, বিশেষত শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ধরে তিনি কুকথা বর্ষণ করেছেন। দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও কিন্তু তৃণমূলে আজও থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নম্বর হলেন কুণাল।
এর আগে ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর সারদা মামলা গ্রেফতার হওয়ার আগে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল কুণালকে। ফের ভয়াবহ সংকটের সামনে কুণাল। কোন দিকে যাবেন? একের পর এক অপমান! দল একলা করে দিয়েছে। কিন্তু সেই সংকটের সময় কয়েকজন কর্মীকে পাশে পেয়ে কেঁদে ফেলেন কুণাল।