গ্রামের যাত্রাপালায় মা কালী সেজে অসুর নিধন করতে গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। এক নাবালকের ঘাড়ে ছুরির কোপ বসাল মা কালী সেজে অভিনয় করা কিশোর। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরের একটি গ্রামে। ভাগবত কথা অনুষ্ঠানে নাটক মঞ্চস্থ করার সময় অসুর বেশে অভিনয় করা নাবালকদের নিধন করতে গিয়ে গলায় ছুরির কোপ বসিয়ে দেয় ওই কিশোর। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শ্যালিকাকে বিয়ে করতে না পেরে 8 মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা বিপত্নীক বাবার
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরের বিলহাউর থানা এলাকার বামভিয়াপুর গ্রামে। ভাগবত কথা উপলক্ষে গ্রামে একটি যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। সেই যাত্রাপালায় অংশগ্রহণ করে বেশ কয়েকজন নাবালক এবং কিশোর। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোর মা কালীর ভূমিকায় অভিনয় করছিল। অন্যান্য নাবালকেরা অসুরের ভূমিকায় অভিনয় করছিল। এই যাত্রাপালাকে ঘিরে প্রচুর লোক হয়েছিল গ্রামে। সেখানকার বাসিন্দা সুভাষ সাইনি নামে একজনের বাড়িতে এই যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়েছিল।
যাত্রাপালায় অসুর বধ করতে বলা হয়েছিল ওই কিশোরকে। গ্রামবাসীরা জানান, তাকে একটি ভোঁতা খাঁড়া ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, এই ধরনের খাঁড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের বাড়ি চলে যায় এবং সেখান থেকে একটি ছুরি নিয়ে চলে আসে ওই কিশোর। এরপর ওই নাবালকের ঘাড়ে ছুরির কোপ বসায়। ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই নাবালক। এরকম দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান গ্রামবাসীরা। তড়িঘড়ি নাবালককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। এই ঘটনায় পুলিশ একটি মামলার রুজু করেছে। মৃত নাবালকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনায় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাদের বক্তব্য, ছেলেটিকে ছুরি নিয়ে কেন মঞ্চে যেতে দেওয়া হল? কেউ তাকে বাধা দিল না কেন? বিলহাউর থানার ওসি কেশব তিওয়ারি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি জানান, বাচ্চারা একটি যাত্রাপালা করছিল সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। নাবালককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।