Modi on Uddhav: ‘বিপদে আমিই প্রথম…’ উদ্ধবের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বোঝালেন মোদী, উস্কে দিল জল্পনা

মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচারের পর উদ্ধব ঠাকরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর শ্রদ্ধাভাজন বালসাহেবের ছেলে হিসাবে প্রধামমন্ত্রী উদ্ধবের শারীরিক কুশল জানতে চান। কিন্তু সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তাতে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন জল্পনা উস্কে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার টিভি নাইনকে এক সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, ২০২১ সালের নভেম্বরে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের আগে উদ্ধব ঠাকরে তাঁকে ফোন করেছিলেন। সেই সময় তিনি উদ্ধবের সঙ্গে কথা বলেন পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্ত্রী রেশমি ঠাকরের কাছে উদ্ধবের শারীরিক অবস্থা জানতে চান।

তিনি বলেন, ‘আমি ওঁকে বালসাহেবের ছেলে বলে শ্রদ্ধা করি। আগামীকাল, যদি উনি যদি কোনও সমস্যার মুখোমুখি হন, আমিই প্রথম ব্যক্তি হব যিনি ওনাকে ফোন করব।’ সাক্ষাৎকারে মোদী জোর দিয়ে বলেন, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সম্পর্ক পৃথক। তিনি শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের প্রশংসা করেন।

পুনর্মিলনের জল্পনা

প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের ফলে বিজেপি এবং ঠাকরের মধ্যে পুনর্মিলনের জল্পনা জোরদার হয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এমন একটি সময় এই মন্তব্য করলেন, লোকসভা নির্বাচনে একনাথ শিন্ডের শিবসেনার পারফর্মেন্স নিয়ে রাজ্য বিজেপির নেতারা সন্দিহান।

উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী উদ্ধব ঠাকরের অস্ত্রোপচারের সময় তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছিলেন। তিনি বলেন,’ রাজনীতিতে ব্যক্তিগত শত্রু বলে কিছু নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। মোদীজি আমাদের এটাই শিখিয়েছেন। তবে আমাদের আর ঠাকরের সঙ্গে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

আরও পড়ুন। ‘বাংলায় অনেক বড় বদল হবে, সময়ের অপেক্ষা, এক নারীর হাত ধরে যা…’বললেন মোদী

উদ্ধবের কড়া প্রতিক্রিয়া

উদ্ধব ঠাকরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী এই দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। প্রশংসার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন অসুস্থ ছিলাম এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম, তখন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কারা জড়িত ছিল? আপনি আমার সরকারকে টেনে নামিয়ে এখন আমার প্রশংসা করছেন।

শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্ভবত নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় রয়েছেন এবং তিনি কোনও প্রস্তাবও পাঠাতে পারেন। রাউত বলেন, ‘যদি সত্যিই তারা ঠাকরেদের কথা ভাবত, তাহলে দলকে বিভক্ত করে কোনও বিশ্বাসঘাতকের হাতে তুলে দিত না।

লোকসভা ভোট যত এগোচ্ছে, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্যগুলির তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। ভোটে এর কি পড়ে সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন। ‘তৃণমূল কংগ্রেস তো…’! বিরোধীদের কে কটা আসন পাবে নদিয়ায় ভবিষ্যৎবাণী মোদীর