Superstition regarding snake bite: সাপের কাটায় মৃত্যু যুবকের, প্রাণ ফেরার আশায় গঙ্গায় ভাসানো হল দেহ-ভিডিয়ো

সাপের কামড়ে মারা গিয়েছিলেন যুবক। পরিবারের সদস্যরা তখন তাঁকে আবারও বাঁচিয়ে তোলার জন্য অভিনব ফন্দি এঁটে মৃতের দেহ দড়ি দিয়ে ভালো করে বেঁধে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে রেখেছিলেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে লক্ষ্য রাখার পরে, নিহতের শরীরে কোনও নড়াচড়া না দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাঁর লাশ উদ্ধার করে দাহ করে দিয়েছিলেন। এই মুহূর্তের ভিডিয়ো শুট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছেন কোনও এক প্রত্যক্ষদর্শী। এরপরই শিরোনামে এসেছে এই খবর। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে ঘটে যাওয়া এই অদ্ভুত ঘটনার আসল কাহিনী যে কাউকে অবাক করে দেবে।

ভাইরাল ভিডিয়োতে কী দেখা গিয়েছে

যে ভিডিয়োটি সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে গঙ্গার স্রোতে ওই ব্যক্তির দেহ ঝুলছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে এ দৃশ্য দেখছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা এটিকে কুসংস্কার বলে আখ্যায়িত করছেন এবং সাপে কামড়ালে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন।

জানা গিয়েছে, নিহত ওই যুবকের নাম মোহিত, বয়স ২০ বছর। আহার থানা এলাকার জয়রামপুর কুদাইনা গ্রামে মোহিতকে সাপ কামড়েছিল। এই কারণেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এদিকে আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন, সাপের কামড়ে মৃত্যু যখন, যে কোনও উপায়ে প্রাণ ফেরানো যাবে। কেউ কেউ আবার মোহিতের পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, যদি মৃতদেহটি গঙ্গায় নামিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে মোহিত আবার জীবিত হয়ে উঠতে পারে। মোহিতের পরিবারের সদস্যরা এই কুসংস্কারে পড়ে তাঁর লাশ দড়িতে বেঁধে গঙ্গায় ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেও মোহিত বেঁচে না ফিরলে, বাধ্য হয়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে বাধ্য হয়েছিল পরিবার। প্রশাসনের তরফে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ এপ্রিল গঙ্গায় মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখার ঘটনা ঘটেছিল।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, আশেপাশের লোকজন জানিয়েছেন, ঘটনার দিন মোহিত তার খামারে কাজে গিয়েছিল। একই সময়ে ফসলের মাঝখান থেকে বেরিয়ে এসে একটি সাপ তাঁকে কামড়ে দেয়। এ কারণে মোহিতের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁকে নাকি ডাক্তারের পাশাপাশি ভূত-প্রতারকদের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু মোহিতের জীবন বাঁচানো যায়নি। এ প্রসঙ্গে এক আত্মীয় জানিয়েছেন, গ্রামের স্থানীয়রা রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ করার জন্য যুবকের সাপে কামড়ানোর ক্ষতটির চারপাশে শক্ত গিঁট দিয়েছিল। হাসপাতালে যাওয়ার পথে সে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা তাকে শহরের রানা হাসপাতালে নিয়ে যাই, ডাক্তাররা তাকে ভর্তি করতে অস্বীকার করেছিল এবং বলেছিল যে আমাদের তাকে একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। এরপর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই আত্মীয় আরও জানিয়েছেন যে, ‘আমরা মোহিতকে অনেকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম, যারা সাপের কামড়ের চিকিৎসা করে, কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। একটি কথা আছে যে গঙ্গা নদীতে লাশ রাখলে সাপের বিষ সরে যায় এবং আমরাও তাই করেছি।’