বরিশালে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক থ্রি-হুইলার ভাংচুর

বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় বাস মালিক গ্রুপের সাথে হামলার ৪ ঘণ্টার (সন্ধ্যা ৬টায়) ব্যবধানে বাস শ্রমিকদের সাথে থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। হামলায় থ্রি-হুইলারের ১০ শ্রমিক আহত হয়। ভাংচুর করা হয় অর্ধশত থ্রি-হুইলার। হামলা ও ভাংচুরের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে থ্রি-হুইলারের শ্রমিকরা।

থ্রি-হুইলার শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা পারভেজ জানিয়েছেন, শনিবার (৪ মে) দুপুরে বাস চালককে মারধরের ঘটনায় শ্রমিকরা আন্দোলনে যায়। এ সময় অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। তখন থ্রি-হুইলার যাত্রী নিয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। এ নিয়ে আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় একজন থ্রি-হুইলারের চালকের সাথে বাস শ্রমিকদের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে দফায় দফায় থ্রি-হুইলারে ভাংচুর চালায় বাস শ্রমিকরা। বিভিন্ন স্থান থেকে আগত থ্রি-হুইলারের সামনের গ্লাস ভাংচুরের সাথে সাথে চালকদেরও মারধর করা হয়। থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের দাবি তাদের অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাংচুর করা হয়। এতে ১০ জন চালক কম-বেশি আহত হয়।

তিনি আরও জানান, রাতে থ্রি-হুইলার চালকদের মারধর এবং থ্রি-হুইলার ভাংচুরের প্রতিবাদে ও এর বিচারের দাবিতে নথুল্লাবাদ থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।

ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, বাস শ্রমিকদের সাথে থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের বাগবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত করে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস চালককে মারধর করা এবং আহত চালককে খুঁজে না পাওয়ায় ভাংচুর চালিয়েছে শ্রমিকরা। এ সময় ওই হামলাকারী বাস মালিক গ্রুপের এক নেতার অনুসারীর বিচার দাবি এবং নিখোঁজ চালকের সন্ধান চান তারা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সকল রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, হর্ন বাজানোকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনার পরে পরিবহন শ্রমিকদের দুটো অংশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকদের একটি অংশ বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাঁশ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে সড়কের দুইপ্রান্তে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বাসস্ট্যান্ডের ভেতরে কাউন্টারের সামনে রক্ষিত কাঠের বেঞ্চ ও সাইনবোর্ড ভাংচুর করে।

ঘটনাস্থলে থাকা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন জানান, বাস শ্রমিকদের মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে। সেই গ্রুপিং-এর কারণে শ্রমিকদের অফিস ভাংচুর এবং চালককে মারধর করা হয়। পরে দুই গ্রুপের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।