Principal Beats Teacher: দেরিতে স্কুলে এসেছেন! শিক্ষিকাকে চেপে ধরে আঁচড়ে দিলেন প্রিন্সিপাল, মারামারির ভিডিয়ো ভাইরাল

দেরি হয়ে গিয়েছিল স্কুলে আসতে। আর তাতেই রেগে আগুন হয়ে শিক্ষিকাকে মারধর করতে শুরু করেছিলেন প্রিন্সিপাল! আসল ঘটনাটা কী! প্রতিদিনই কিছু না কিছু ভাইরাল হয়ে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিছু মজার এবং কিছু মর্মান্তিক। তবে, এদিনের স্কুলের ভিডিয়োটি রীতিমত হুঁশ উড়িয়ে দেওয়ার মতো। স্কুলের প্রিন্সিপাল হয়ে কী করে কোনও শিক্ষিকাকে মারধর করতে পারলেন তিনি! উঠছে প্রশ্ন।

ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রার সেগনা গ্রামে। এখানে,  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মহিলা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেবল শিক্ষক গুঞ্জন চৌধুরীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগই নয়, হামলার সময় তাঁর জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করারও অভিযোগ উঠে এসেছে। এই ঘটনার ভিডিয়োও সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, প্রিন্সিপালের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ওই শিক্ষক।

  • ভাইরাল ভিডিয়োতে কী দেখা গিয়েছে

প্রকৃতপক্ষে, দেরিতে আসার জন্য শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগে ক্যামেরা বন্দি হয়েছিলেন অধ্যক্ষ। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়োই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে ক্রমশ। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে যে শিক্ষক একটু দেরিতে স্কুলে আসলেই, বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। এরপর মেজাজ হারিয়ে শিক্ষককে মারধর শুরু করেছিলেন তিনি। এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে শিক্ষকের গাল আঁচড়াতে শুরু করে দিয়েছিলেন এবং তাঁর কুর্তিটাও ছিঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই মহিলা শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেছেন তাঁর ড্রাইভারও।

ভিডিয়োর ব্যাকগ্রাউন্ডে বলতে শোনা গিয়েছিল, এটা কি ঠিক হচ্ছে। ম্যাডাম অসভ্যতা করছেন। এটা কি আপনাকে মানায়? ভিডিয়োতে আবার শিক্ষককে বলতে শোনা গিয়েছে যে, আপনার সাহস থাকলে আমাকে মারুন। আপনি এবং আপনার ড্রাইভার কী করবেন। এখানে কোনও ধরনের গুন্ডামি কাজ করবে না। ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়নি। স্কুলের সময় শেষে, উভয় মহিলাই একে অপরকে নির্লজ্জ মহিলা বলে কটাক্ষ করেছেন। ভিডিয়ো অনুসারে, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক উভয়েই মারামারির সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন।

  • নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া

খুব স্বাভাবিকভাবেই, ভিডিয়োটি দেখার পর চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের। একজন শিক্ষিকা ও প্রিন্সিপালের ভুল শুধরে দিয়ে বলেছিলেন যে স্কুলে গালাগালি করা ঠিক নয়, তার উপরে দুজনেই যখন শিক্ষক। আবার কারও দাবি,প্রাইভেট স্কুলগুলো দোকানে পরিণত হয়েছে যেখানে এই শিক্ষকরা বিক্রয়কর্মী এবং দরিদ্র পিতামাতারা কেবল গ্রাহক.. তারা ছাত্রদের কী শেখান? কেউ কেউ আবার পুরনো দিনের কাহিনি তুলে ধরেছেন। একজনের দাবি যে এখন আর কোনও ডেডিকেটেড শিক্ষক নেই। এটা শুধুমাত্র একটি পেশা, পুরনো দিনে শিক্ষকেরা কার্যত মায়ের মতো করে আমাদের শিক্ষা দিতেন। আমাদের মধ্যে অনেক ভালবাসা এবং বোঝাপড়া ছিল। প্রণাম আমার সকল প্রিয় শিক্ষকদের।