Sandeshkhali Update: হাওয়া ঘুরছে সন্দেশখালিতে? ভিডিয়ো সামনে আসতেই শাহজাহানের মুক্তি চাইছেন মহিলারা

একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা গিয়েছে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। তিনি এমন কিছু কথা বলেছেন যার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির। এদিকে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে এবার সেই স্টিং ভিডিয়ো সামনে আসতেই একেবারে অন্য কথা বলতে শুরু করেছেন সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ। 

একদিকে বাসিন্দাদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন যে ভিডিয়োটা সামনে আনা হয়েছে সেটা পুরো ফেক। সেটাকে হাতিয়ার করে তৃণমূল বাজার গরম করার চেষ্টা করছে। তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়়ে যায়। 

আবার বাসিন্দাদের অপর অংশ আবার সেই স্টিং ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। তাদের দাবি, শেখ শাহজাহানকে মিথ্যেভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এটা মানা যায় না। 

সূত্রের খবর, রবিবার সরবেড়িয়ার আকুঞ্জিপাড়ায়  স্থানীয় মহিলাদের একাংশ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তাঁদের দাবি শাহজাহানকে মুক্তি দিতে হবে। সব বেরিয়ে প়ড়েছে। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তুলেছেন তারা। শুভেন্দু অধিকারীর শাস্তির দাবিতেও সরব হয়েছেন তারা। 

এদিকে গঙ্গাধর কয়াল নামে ওই বিজেপি নেতাকে ভিডিয়োতে বলতে শোনা গিয়েছিল শুভেন্দুবাবুর নির্দেশে সব হয়েছে। উনি আমাদের বলেন, এখানে তাবড় নেতাদের গ্রেফতার করতে না পারলে তোমরা দাঁড়াতে পারবে না। আর গ্রেফতার করতে গেলে ধর্ষণের অভিযোগ করতে হবে। 

এবার সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মহিলাদের একাংশ। তাঁরা বলতে শুরু করেছেন সত্য বেরিয়ে আসছে। মিথ্য়ে কোনওদিন চাপা থাকে না।

আসলে এই ভিডিয়ো প্রকাশ্য়ে আসার পর থেকেই কার্যত দ্বিধাবিভক্ত গোটা সন্দেশখালি। এতদিন সন্দেশখালির মহিলাদের অনেকেই অন্য সুরে কথা বলছিলেন। শেখ শাহজাহান কীভাবে তাদের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যেতেন। কীভাবে তাদের উপর অত্য়াচার করা হত সেটা জানিয়েছিলেন তারা। 

তবে স্টিং ভিডিয়ো যেন সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে। কে সত্যি বলছেন আর কে মিথ্যে বলছেন সব গুলিয়ে যাচ্ছে। কীভাবে সত্যিটা বের হবে তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না অনেকে। বিভিন্ন নির্বাচনী মঞ্চ থেকে এই ভিডিয়োতে হাতিয়ার করে সুর চড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অন্যদিকে তার পালটা দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার। সেক্ষেত্রে কে সত্যি কথা বলছেন, কে মিথ্য়ে কথা বলছেন সেটা নিয়ে ধন্ধে বঙ্গবাসী।