Triple murder conviction: অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী’র শেষ জবানবন্দির ভিত্তিতে তিনজনের হত্যার দায়ে জেলে গেল স্বামী

স্ত্রী, সন্তান এবং শ্বশুরকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করল নাগপুরের একটি আদালত। অভিযুক্তের নাম কিশোর শেন্ডে। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের নাগপুরের গণ্ডিয়া এলাকার। মূলত অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত স্ত্রী আরতী শেন্ডের সাক্ষীর উপর ভিত্তি করেই কিশোরকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সেক্ষেত্রে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী।

আরও পড়ুন: মেলেনি ফ্ল্যাট কেনার টাকা, গায়ে গরম তেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারা হল গৃহবধূকে

কী ঘটেছিল?

মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। আরতীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল কিশোরের। তাই নিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিদিনই ঝগড়া লেগে থাকত। এমনকী কিশোর আরতির ওপর নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। সেরকমই একদিন ঝগড়ার জেরে সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন আরতী। এরপর তিনি সেখানেই থাকতে শুরু করেন। তবে তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ ছিল কিশোর। 

ঘটনার একদিন আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আরতীকে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসার জন্য হুমকি দিয়েছিল কিশোর। স্ত্রীকে কিশোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, দ্রুত বাড়ি না ফিরলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও আরতী বাড়ি না ফিরে বাপের বাড়িতেই থেকে যান।

এরপরেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটায় কিশোর। ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় সে। ঘটনায় তাদের চার বছরের সন্তান জয় এবং কিশোরের পক্ষাঘাতগ্রস্ত শ্বশুরকে নাগপুরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার সময় ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরতীর।

মৃত্যুর আগে আরতী তাঁর দুই ভাই সহ পাঁচ জনকে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীই কুঁড়েঘরে আগুন লাগিয়েছিল। তবে তাদের ৬ বছরের মেয়ে সেই সময় বাড়িতে না থাকায় প্রাণ রক্ষা হয়। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমেই কিশোরকে গ্রেফতার করে। এরপর শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। এই মামলায় মোট ১৯ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শী এবং কিশোরের ৬ বছরের কন্যাও রয়েছে। ওই কন্যা শিশু তার মায়ের ওপর বাবার অত্যাচারের কথা বর্ণনা করে আদালতের কাছে।

সাক্ষীদের জবানবন্দিতে সামনে আসে যে কিশোর এক সময় আরতীকে বাইকে বেঁধে গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছিল। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী বিজয় কোলহে এরকম ঘটনাকে বিরলতম বলে উল্লেখ করে দোষীর কঠোরতম শাস্তির আবেদন জানান। তিনি কিশোরের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানিয়েছেন। আগামী ৯ মে এই মামলায় সাজা ঘোষণা করবে আদালত।