Santanu Thakur: অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পের ভুয়ো ছবি বানিয়ে পোস্টার ছাপানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

CAA নিয়ে তৃণমূলের অপপ্রচারের অভিযোগে ফের একবার সরব হলেন মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর দাবি, সম্প্রতি তৃণমূলের তরফে প্রচারিত একটি পোস্টারে অসমের ডিটেশন ক্যাম্পে বন্দি এমন সব মানুষের ছবি দেখানো হয়েছে যারা আসলে অসমের বাসিন্দাই নন। তৃণমূলের পোস্টারে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি বলে দেখানো হয়েছে এমন এক ব্যক্তিকে পাশে বসিয়ে এদিন ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। মাধবচন্দ্র পাল নামে সেই ব্যক্তি বলেন, জীবনে আমি অসমই দেখিনি, ডিটেনশন ক্যাম্প তো পরের কথা।

আরও পড়ুন: মেদীজির ঠেলায় সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের তালিকা দিতে বাধ্য হয়েছে SSC: শুভেন্দু

পড়তে থাকুন: মাঝ আকাশে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন মহিলা যাত্রীরা, বিমান জরুরি অবতরণ করলেন পাইলট

এদিন একটি পোস্টার দেখান শান্তনু ঠাকুর। সেখানে দেখা যায় একটি জেলখানার মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম নারী – পুরুষ ও শিশুরা বন্দি রয়েছে। নীচে লেখা, ‘আসামের গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্প। ৭ লক্ষ মুসলিম ও ৫ লক্ষ হিন্দু বন্দি আছে ও প্রাণ ও পরিচয়ের জন্য লড়াই করছে।’ তবে পোস্টার কারা প্রকাশ করেছে তাদের কোনও নাম নেই। সেই পোস্টারে জেলখানার ভিতরে দেখা যাচ্ছে মাধবচন্দ্র পালকেও।

এদিন শান্তনু ঠাকুরের পাশে বসে মাধববাবু বলেন, ‘আমি দত্তপুকুরের পালপাড়ার বাসিন্দা। আমি এই ডিটেনশন ক্যাম্প জন্মে চোখে দেখিনি। কিন্তু ছবিতে দেখতে পাচ্ছি, আমি জেলে বন্দি রয়েছি। এর কারণ কী? আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না। তাই আমি ঠাকুরের কাছে ছুটে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘দিন দশেক আগে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্য আমাকে বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান একটা লোক পাঠাচ্ছে। আপনার একটা ছবি তুলবে। ছবি তোলার সময় আমাকে বলে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আপনার ছবি চেয়েছে। আপনাদের হয়তো পঞ্চায়েত অফিসে ডেকে কিছু দেবে। কিন্তু জেলের ভিতরে আমার ছবি দেখে আতঙ্কে আছি।

আরও পড়ুন: চাকরি বাতিলের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ, আপাতত ফেরত দিতে হবে না বেতনও

শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস মতুয়াদের ভোট পাওয়ার জন্য তাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। একজন গরিব মানুষকে পঞ্চায়েতের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ছবি তুলে নিয়ে গিয়ে সেটাকে এভাবে ব্যবহার করা গর্হিত কাজ। এভাবে গত ১২ বছর ধরে তৃণমূল মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া ঠাকুরবাড়িকে শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। মতুয়া বাড়ির দেবত্র সম্পত্তিকে ওরা লুঠ করতে চায়। আর এই কাজে সাহায্য করছেন মমতাবালা। আজ সমস্ত মতুয়া সমাজ জানল তৃণমূল কী ভাবে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।’