একজন অভিভাবক হিসাবে যে কোনও পিতামাতা চান তাদের সন্তানকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে। কিন্তু শিশুকে সফল দেখতে গেলে প্রথম থেকেই শিশুদের কিছু নিয়মের মধ্যে বেঁধে রাখতে হয় অভিভাবকদের। তেমনি এমন পাঁচটি নিয়ম রয়েছে যা সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি যদি আপনার শিশুকে অভ্যাস করাতে পারেন তাহলে আপনার শিশু হয়ে উঠবে বুদ্ধিমান।
স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট: সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আপনার শিশু যে খাবারটি খায় সেই খাবারটি যেন পুষ্টিতে ভরপুর থাকে। সকালের প্রাতরাশ আপনার শিশুকে যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করবে সেটাই আপনার শিশুর বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। সকালের ব্রেকফাস্টে ফল, দুধ, কলা সহ এমন কিছু ভারী খাবার দিতে হবে যা আপনার শিশুর পেট ভর্তি রাখবে এবং সারাদিন চনমনে করে রাখবে।
পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম আপনার সন্তানের মস্তিষ্ক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠার পাশাপাশি কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুম বাঞ্ছনীয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনার সন্তানের মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করবে না এবং তার বুদ্ধিদীপ্ততা কোথাও হারিয়ে যাবে।
শারীরিক কার্যকলাপ: সকালের শারীরিক কার্যকলাপ আপনার সন্তানের মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করবে। যোগ ব্যায়াম, দৌড়াদৌড়ি বা হাঁটাহাঁটির মতো শারীরিক ক্রিয়াকলাপ স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি আপনার সন্তানের বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের খেলা: দাবা, ধাঁধা, মেমারি গেম, ক্রসওয়ার্ড পাজল সহ একাধিক মাইন্ড গেমের সঙ্গে সন্তানকে নিযুক্ত করার চেষ্টা করুন। এই সমস্ত খেলা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ১ ঘন্টা এই সমস্ত খেলায় ব্যস্ত থাকলে মস্তিষ্ক প্রখর হবে।
নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ: আগামী দিনে আপনার শিশু কী শিখতে চায় সেটি পর্যালোচনা করে বাচ্চার লক্ষ্য নির্ধারণ করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন সকালে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অল্প অল্প করে পরিশ্রম করান আপনার শিশুকে। এইভাবে বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে আপনার শিশু।