‘বিশ্ববিদ্যালয় কারও ব্যক্তিগত নয়’, আরও ১৫ উপাচার্য নিয়োগের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের

রাজ্যের ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের নির্দেশ আগেই দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর এবার আরও ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। আরও নির্দেশ দিয়েছে যে রাজ্যের সুপারিশে এই উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। তারপর আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানিতে এই নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ২১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। 

আরও পড়ুন: স্থায়ী উপাচার্য পেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্যের প্রস্তাবে তিন মাস পর সিলমোহর

মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ মৌখিকভাবে এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপালের আইনজীবীর উদ্দেশ্য বেঞ্চের মন্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয় কারও ব্যক্তিগত নয়, এটা জনগণের। তাই যাবতীয় বিতর্ক ভুলে উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে।

এই নির্দেশের পরেই রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘আচার্যের কৌঁসুলি বিষয়টি রেকর্ড না করার জন্য আদালতের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। আসলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করার চক্রান্ত হয়েছে। তবে আদালত তা ব্যর্থ করেছে।’

ব্রাত্য আরও লেখেন, সুপ্রিম কোর্ট আচার্যকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১জন ভিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে। শুক্রবার কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চলে আসছে গত বছর থেকে। রাজ্য সরকার নিজের পছন্দমতো উপাচার্য নিয়োগ করেছিল। তবে সেই নিয়োগ বাতিল হওয়ার পর রাজ্যপাল নিজের পছন্দমতো অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন। আর তাতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকার রাজ্য সরকারের সংঘাত তীব্র হয়।মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। 

অভিযোগ ছিল, রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি নিয়োগের ক্ষেত্রে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। পরে ভাস্কর গুপ্তকে রাজ্যের সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট আগে নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। রাজ্যের পাঠানো তালিকা থেকেই এই নিয়োগ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। একইভাবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়।