SSC 25753 Jobs Cancellation Update: নিয়োগ দুর্নীতির পর্দাফাঁস হবে অবশেষে? CBI-এর হাতে এল ‘অযোগ্যদের তালিকা’, SSC-র ইমেল

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাই কোর্ট এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলের ২৬ হাজার শিক্ষক এবং স্কুলকর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্ট এই রায়ে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিলেও দুর্নীতি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিল। এই আবহে শীর্ষ আদালতে সেই মামলার চূড়ান্ত রায় এখনও দেওয়া হয়নি। তার আগেই সিবিআই এই মামলা নয়া মোড় ঘোরাল। এর আগে এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছিল, ২৬ হাজার চাকরিপ্রাপকদের মধ্যে কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য সেই তালিকা তারা দিতে পারবে। সেই মতো অবৈধভাবে নিযুক্ত ৪৫৯৯ জনের তালিকা আদালতের হাতে তুলে দিয়েছিল এসএসসি। আর এবার নাকি সিবিআই অযোগ্যদের তালিকার হদিশ পেয়েছে এসএসসির সার্ভার থেকেই। (আরও পড়ুন: ১৩ মাসে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছল দেশের পাইকারি মূল্যস্ফীতির হার, ‘দায়ী’ খাদ্য-গ্যাস)

আরও পড়ুন: আদালতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য, সরকারি কর্মীর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোটা টাকা

আরও পড়ুন: শীর্ষে থেকেও ‘হেরে গেল’ বাংলা, কমিশনের ভোট পরিসংখ্যানে উঠল এল কোন তথ্য

টিভি৯ বাংলার খবর অনুযায়ী, দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং স্কুলকর্মীদের তালিকা হাতে এসেছে সিবিআই তদন্তকারীদের। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এসএসসি-র তরফ থেকেই নায়সাকে একটি ইমেল করে জানানো হয়েছিল যে কাদের কাদের কত নম্বর বাড়াতে হবে। সেই ইমেল সহ তালিকা নাকি সিবিআই পেয়ে গিয়েছে। এসএসসির সার্ভার থেকে নাকি এই সব নথি ও তথ্য উদ্ধার করেছে সিবিআই। দাবি করা হয়েছে, এসএসসির তরফ থেকে নায়সা কর্তা নীলাদ্রি দাস, নায়সার প্রাক্তন কর্তা পঙ্কজ বনশল ও নায়সার এক কর্মী মুজাম্মিল হোসেনকে ইমেল করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ভোটের মাঝে ভাতা নিয়ে চুপিসারে জারি বিধি, সরকারি কর্মীদের বেতনে পড়বে প্রভাব!)

আরও পড়ুন: চাবাহার নিয়ে ভারতকে ‘নিষেধাজ্ঞা জুজু’ দেখাল USA, জবাবে মুখ খুললেন জয়শংকর

আরও পড়ুন: হলদিরামের ৭৬% অংশিদারিত্ব কিনতে চায় ব্ল্যাকস্টোন, সংস্থার দমে ঘুরবে মাথা!

এদিকে ইতিমধ্যেই ২০১৬ প্যানেলের বহু শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের নথি সহ সিবিআই তলব করেছে নিজাম প্যালেসে। জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরের মাধ্যমে একাধিক শিক্ষককে এই তলব নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া ২০১৬ সালের প্যানেলের ২৫ হাজার ৭৫৩টি চাকরি বতিল হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল এসএসসি। সেখানে আপাতত হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: রাজস্থানে খনিতে ছিঁড়ল লিফট, ৫৭৭ ফুট নীচে আটকে কলকাতা থেকে যাওয়া অফিসাররা)

আরও পড়ুন: ‘যারা ভোটের ফল ঠিক করতে আদালতে যায়…’, পশ্চিমি ‘জ্ঞান’ নিয়ে কড়া জবাব জয়শংকরের

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান করে বলে, ২০১৬ সালে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশে নিয়োগ পাওয়া এসএসসি চাকরিপ্রাপকদের সবার চাকরি বাতিল হবে। পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বৈধ হতে পারে না। অন্যদিকে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সব বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাপ্ত বেতনের ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে বলা হয়েছিল শিক্ষক এবং স্কুলকর্মীদের। পরে ২৪ এপ্রিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন।