Uttarakhand High court: ১০ বছর আগে দেরাদুনে বাঙালি দম্পতি খুন, মৃত্যুদণ্ড রদ করে বেকসুর খালাস হাইকোর্টের

প্রায় ১০ বছর আগে দেরাদুনে খুন হয়েছিল বাঙালি দম্পতি। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড রদ করে বেকসুর খালাস করল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। বিচারপতি রবীন্দ্র মাইথানি এবং বিচারপতি অলোক ভার্মার ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। তাতে বেঞ্চ স্পষ্ট করেছে, পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মূল পান্ডাদের ধরতে পারেনি তদন্তকারীরা, দাভোলকর হত্যা মামলায় আক্ষেপ আদালতের

এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম হল রাজু দাস। সে পেশায় একজন ক্যাব চালক। তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের একটি জেলা ও দায়রা আদালত। অন্যদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও তিন জন কুন্দন দাস (৩২), গুড্ডু (৩৬) এবং বাবলুকে (৩৭) আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। তাদের সকলকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজু দাসের আইনজীবী রাজেন্দ্র নাটিয়াল জানান, এই মামলায় পর্যাপ্ত সাক্ষ্য ছিল না। তাছাড়া সাক্ষীদের বয়ানেও অসঙ্গতি ছিল। তার ভিত্তিতে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছে।

কী ঘটেছিল?

মামলার বয়ান অনুযায়ী, খুন হওয়া দম্পতির নাম অভিজিৎ পাল (২৪) এবং মৌমিতা দাস (২৭)। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর। ওই দিন তাঁরা দেরাদুনে পৌঁছেছিলেন তারা চাকরার টাইগার ফলস দেখার জন্য। সেই উদ্দেশ্যে রাজুর ক্যাব ভাড়া করেছিল দম্পতি। তবে চালক রাস্তা দিয়ে ক্যাব নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটে বিপত্তি। এই সময় দুষ্কৃতীরা রাজুর গাড়ি আটকায়। দম্পতির যাবতীয় জিনিস লুটপাট করে নেয়।  

এরপর দুষ্কৃতীরা প্রথমে অভিজিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তারপরে মৌমিতাকে হত্যা করে। তবে মৌমিতাকে হত্যা করার আগে তাঁকে ধর্ষণ করে। এরপর তাঁর দেহ নদীতে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তদন্তে নামে উত্তরকাশীর পুরোলা থানার পুলিশ। অভিযোগ উঠেছিল, একটি পাহাড় থেকে অভিজিতের মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এরপর পুলিশ দুজনের দেহ উদ্ধার করে। পরে খুনের অভিযোগে ওই ৪ জনকে গ্রেফতার করে।

হাইকোর্ট সূত্রের খবর, মৌমিতা গুরগাঁওয়ের পাথওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কলা বিভাগে পড়াতেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীর বাসিন্দা। তবে কাজের সূত্রে পরে দিল্লিতে চলে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই থাকছিলেন। অন্যদিকে, অভিজিৎ ছিলেন একজন চিত্রশিল্পী। তিনি দমদমের বাসিন্দা। তিনিও দিল্লিতে থাকতেন। এই মামলায় ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তারা হাইকোর্টে আবেদন করে। অবশেষে সেই মামলায় রায়দান করল হাইকোর্ট।