কবি নজরুল মেট্রো স্টেশনের শেড উড়ে গিয়েছে কালবৈশাখীতে, ১০ দিন অতিক্রান্ত, এখনও লাগানো হয়নি

মু্ম্বইয়ে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং ভেঙে মৃত্যুর ঘটনার পরই কলকাতায় সতর্কতা নেওয়া হয়। তার জেরে কলকাতা পুরসভা দুর্ঘটনা এড়াতে বিজ্ঞাপন এজেন্সিগুলিকে ইমেল করেছে বলে খবর। কিন্তু এমন আবহে রাজ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে। সেটি হল—গত ৬ মে সন্ধ্যেবেলা কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে উড়ে গিয়েছিল কবি নজরুল মেট্রো স্টেশনের ছাউনি। একধাক্কায় প্রায় ৪০ মিটার অংশ উড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার পর কেটে গিয়েছে ১০ দিন। আজ, বৃহস্পতিবার ১৬ তারিখেও সেই ভাঙা অংশ মেরামত করা হয়নি বলে অভিযোগ। আর তার জেরে এখন রোদ–ঝড়–বৃষ্টিতে নাকাল হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের বলে অভিযোগ।

এদিকে কলকাতা পুরসভার অধীনে এটা পড়ে না। এটা সম্পূর্ণ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের অধীনে রয়েছে। অথচ সেখানে এতদিন কেটে গেলেও বসানো হয়নি নতুন শেড। তাই রোদ–ঝড়–জল–বৃষ্টি মাথায় করেই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে নিত্য যাত্রীদের। তবে এই ভাঙা অংশ থেকে ঝুঁকির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। কারণ শেড ভাঙা অংশের নীচেই রয়েছে একটি যান্ত্রিক চলমান সিঁড়ি। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সেই সিঁড়িও বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বাকি ভাঙা অংশ যদি আবার ভেঙে পড়ে ঝড়–বৃষ্টিতে তাহলে মর্মান্তিক মৃত্যু দেখবে বাংলাও।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি কত টাকায় বিক্রি হও?’‌ সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে কুকথা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

অন্যদিকে কলকাতা পুরসভা বিজ্ঞাপন এজেন্সিগুলিকে ইমেল করে বলেছে, প্রত্যেকটি হোর্ডিংয়ের কাঠামো ল্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে হবে। দ্রুত এই কাজ করে কলকাতা পুরসভায় শংসাপত্র জমা দিতে হবে। কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ সূত্রে খবর, শহরে এমন ছোট–বড় প্রায় সাড়ে তিন হাজার হোর্ডিং আছে। সেগুলির কাঠামো লোহার। আর বিশেষ করে রাস্তার ধারে বা শহরের একাধিক বহুতল, আবাসনের গায়ে এমন হোর্ডিং রয়েছে। সেগুলি কোনটি কি অবস্থায় আছে সেই রিপোর্ট কলকাতা পুরসভার হাতে নেই। সুতরাং ঝড়–বৃষ্টির সময় সেসব ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই প্রায় ৭০টি এজেন্সিকে ইমেল করছে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

সেখানে মেট্রো কেন এখনও কাজ করছে না?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মেট্রোর সাফাই, যে উচ্চমানের ফাইবার দিয়ে মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের শেড তৈরি করা হয়, সেগুলি এই রাজ্যের কোথাও উৎপাদন হয় না। সেগুলি নিয়ে আসতে হয় ভিন রাজ্য থেকে। মেট্রো রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে নজরদারির দায়িত্ব মেট্রো রেলের। কিন্তু নতুন কোনও সামগ্রী কিনতে হলে সেটা টেন্ডার পাওয়া সংস্থা থেকেই নিতে হয়। তারাই শেড এনে এখানে বসিয়ে দেবে। তারপর মেট্রোর অফিসাররা সেটা পরীক্ষা করে ফিটনেস রিপোর্ট দেবেন। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। সেখানে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানান, এই নিয়মের গেরোয় এখনও পর্যন্ত উড়ে যাওয়া শেড বসানো যায়নি।