Adhir Chowdhury: সকালে শেষকৃত্যের পর ভোট দিল স্বজনহারা পরিবার, দেখা করে সমবেদনা অধীরের

পাঁচ বছর আগেকার স্মৃতি ফিরে এল লোকসভা ভোটে। গত সোমবার ১৩ মে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বহরমপুর কেন্দ্রে। এই আসনে ভোট দিতে দেখা গেল এমন একটি পরিবারকে যারা সদ্য স্বজন হারিয়েছিলেন। ভোটের দিন সকালে শেষকৃত্য সম্পন্ন করে স্বজনহারা পরিবারের সকলেই ভোট দিতে যান। ওই পরিবারটি আবার কংগ্রেস সমর্থক। এমন খবর পেয়ে সেই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তিনি সমবেদনা জানান।

আরও পড়ুন: জুনে অধীর যোগ দেবেন BJP-তে? ফোন করলেন স্বয়ং মোদী? ভাইরাল হল ভুয়ো স্ক্রিনশট

জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার পুলিন্দা এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণচন্দ্র প্রামাণিক। তিনি প্রথম থেকে কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন। তবে ভোটের ঠিক আগের দিন তিনি মারা যান। এমন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে আসে কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারে। ভোটের দিন সকালে মৃতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে তারা শ্মশানে গিয়ে কৃষ্ণচন্দ্রের দেহ দাহ করেন। সকাল ৬ টা নাগা তারা কৃষ্ণচন্দ্রকে শ্মশানে নিয়ে যান। এরপর সকলে সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন। তারপর বাড়ি ফিরে ১১টার সময় বাড়ি থেকে সকলে মিলে ভোট দিতে যান।

পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, তারা সকলেই কংগ্রেসের সমর্থক। এই পরিবারে ৩০ থেকে ৩৫ জন ভোটার রয়েছে। তাই এতগুলি ভোট নষ্ট করার ভুল তারা করতে চাননি। এই ঘটনার খবর ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি পরিবারের জন্য কিছু হবিষ্যিও নিয়ে যান। তাদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান কংগ্রেস নেতা। পরে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এটা অনেক বড় পরিবার। দেহ দাহ করার পরে সকলে ভোট দিতে গিয়েছেন। তারা শোক চেপে রেখে যেভাবে ভোট দিতে গিয়েছেন তা সত্যিই অভূতপূর্ব।

প্রসঙ্গত, এর আগে ঠিক এরকমই ঘটনা ঘটেছিল ৫ বছর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে। সেই সময় বেলডাঙা থানা এলাকার বাসিন্দা রেনুকা মার্ডির ছেলের মৃত্যু হয়েছিল। তবে ছেলের দেহ মর্গে রেখেই ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। এরকম খবর পাওয়ার পরে সন্তানহারা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। আর এবারও ঠিক একই ঘটনা ঘটল বহরমপুরে।