Amit Malviya: সরস্বতী পুজো নিয়ে উস্কানিমূলক পোস্ট, হাইকোর্টে রক্ষকবচ পেলেন অমিত মালব্য

রাজ্যের স্কুলগুলিতে সরস্বতী পুজো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় অমিতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। সেই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আপাতত পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে হলে পুলিশ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে অমিত মালব্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের একক বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার বিজেপি কর্মীরা, সন্দেশখালি নিয়ে সরব অমিত মালব্য

কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট উস্কানিমূলক ছিল না সে বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রসঙ্গত, অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লিখেছিলেন, ‘সরস্বতী পুজোর কয়েকদিন আগে বহরমপুরে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকায় মা সরস্বতীর কয়েকশো মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তৃণমূল সরকার স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দিতে চাইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির শিকার হচ্ছে স্কুলগুলি।’ 

সেই পোস্টার পরেই  অমিতের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় এফআইআর করেছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য সহ আরও বেশ কিছু ধারায় মামলার রুজু করা হয়। সেই মামলাতে তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছিল পুলিশ। এরপর এফআইআর বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা।

মামলার শুনানিতে বিজেপি নেতার আইনজীবী যুক্তিতে বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ এবং ৫০৫ ধারায় অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই অভিযোগে প্রয়োজনীয় উপদান এই মামলায় অনুপস্থিত রয়েছে। কারণ তাঁর মক্কেলের এক্স পোষ্টের পরে কোনও সাম্প্রদায় হিংসার ঘটনা ঘটেনি। 

তাঁর আইনজীবী আরও দাবি করেন, রাজ্য সরকার স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআরকে তিনি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেন। যদিও রাজ্যের দাবি, এফআইআর থেকে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী মামলা তৈরি হয়েছে। এই মামলায় আরও যুক্তি দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি। গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।